সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে সব মহলে। এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়া নয়, বরং কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করছে তৃণমূল। বাংলার মানুষেরা এই সিএএ-র জেরে 'অনুপ্রবেশকারী' হয়ে যাবেন বলেই দাবি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। CAA লাগু হওয়ার পর প্রথম বার বাংলায় এসে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সাফ জানালেন, তৃণমূল ও বামেদের তরফে ভুল বোঝানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কথায়, "সব পরিবারকে নাগরিকত্ব দেওয়া মোদির গ্যারান্টি।"
কী বললেন মোদি? এদিন কোচবিহারের সভা থেকে মোদি বলেন, "সব পরিবারকে নাগরিকত্ব দেওয়া মোদির গ্যারান্টি। বাংলার সব পরিবারকে আমি বলব, তৃণমূল, বামেরা ভয় দেখাবে। কিন্তু কেউ ভয় পাবেন না। আপনারা ১০ বছর আমার কাজ দেখেছেন। আপনারা মোদির গ্যারান্টিতে নিশ্চিন্তে ভরসা করতে পারেন।"
[আরও পড়ুন: দাদা রিহ্যাবে, সংসার খরচ নিয়ে বউদির সঙ্গে অশান্তি! রোষেই খুন দেওরের? ওয়াটগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে নয়া তথ্য]
সিএএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার দাবি করেছেন, তিনি কোনওভাবেই সিএএ লাগু হতে দেবেন না। কারও নাগরিত্ব কাড়তে দেবেন না। তিনি বার বার জানিয়েছেন, সিএএ আদতে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ফন্দি। এসবের মাঝেই অবশেষে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। দেশজুড়ে জারি হয় সিএএ। তার পর তৃণমূলের তরফে এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সকলকে বলেছেন কেউ যেন সিএএ-এর জন্য আবেদন না করেন। আবেদন করলেই নাগরিকরা নাগরিকত্ব হারাবেন, অনুপ্রবেশকারীতে পরিণত হবেন। ফলে সিএএ আদৌ বিপদ বাড়াবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে, সিএএ কার্যকর হওয়ার পর এই প্রথম বাংলায় এলেন মোদি। সেখানেই সিএএ নিয়ে সকলকে আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী।