সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংখ্যালঘু তোষণ করতে গিয়েই বাংলার ওবিসিদের বিপদে ফেলল তৃণমূল (TMC) সরকার। হাই কোর্টের রায়ের পর একসুরে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোদির বক্তব্য, হাই কোর্টের এই রায় তৃণমূল সরকারকে কষিয়ে থাপ্পড় মারার শামিল। অমিত শাহ বলছেন, মুসলিম তোষণ করতে গিয়ে সাধারণ ওবিসিদের বিপদে ফেলছে তৃণমূল।
বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সাল পরবর্তী রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল বলে গণ্য হবে। ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। তবে ২০১০ পরবর্তী অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের দেওয়া সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে বাতিল হচ্ছে ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র।
[আরও পড়ুন: ‘স্বামী প্রণবানন্দ না থাকলে বাংলাদেশে মিশে যেত বাংলা’, মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব শাহের]
দিল্লির এক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) দাবি করেছেন, হাই কোর্ট এই রায় দিয়েছে কারণ তৃণমূল সরকার বেআইনিভাবে মুসলিমদের সংরক্ষণ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, "এই খান মার্কেট গ্যাং পাপের জমিদার। ওরা মনে করে মুসলিমদেরই দেশের সম্পদের প্রথম অধিকারী। ওরা নিয়মিত ওয়াকফ বোর্ডকে জমি দিয়ে দিচ্ছে, বদলে ভোট চাইছে। ওরা চায় দেশের ১৫ শতাংশ বাজেট সংরক্ষিত থাক মুসলিমদের জন্য। ওরা CAA'র বিরোধিতাও করছে ভোটব্যাঙ্কের জন্যই।" একই সুরে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগেছেন অমিত শাহও। তাঁর দাবি, "কোনওরকম সমীক্ষা না করেই মমতার সরকার মুসলিমদের ১১৮টি সম্প্রদায়কে সংরক্ষণের আওতায় এনেছে। আদালত এটারই বিরোধিতা করেছে। আমরা এই নির্দেশকে স্বাগত জানাই। শুধু নিজের ভোটব্যাঙ্কের জন্যই ওবিসিদের সংরক্ষণ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল।"
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বুকে বিজেপির ‘পদ্ম’, ছবি প্রকাশ্যে এনে ইস্তফার দাবি তৃণমূলের]
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Narendra Modi) অবশ্য আগেই আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, "এটা কখনও হতে পারে? তাহলে সংবিধান ভেঙে দিতে হয়। শুনলাম কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে। যদিও তার রায় আমি মানি না। যেমন ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল। আমি বলেছিলাম ওদের রায় আমরা মানি না। তেমনই বলছে আজকে। যে-ই রায় দিয়ে থাকুন। বিজেপির রায় এটা। আমরা মানি না। ওবিসি রিজার্ভেশন চলছে, চলবে।"