সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪ ও ২০১৯-এ আসন পাওয়ার নিরিখে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় বিরোধীদের প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল বিজেপি (BJP)। সেই চারটি রাজ্য ২০২৪ লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরকে হতাশ করেছে। শিরে সংক্রান্তি একাধিক রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোট। এই অবস্থায় তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর প্রথম বারাণসী সফরে অন্নদাতাদের মন পেতে পিএম কিষাননিধি প্রকল্পের ১৭তম কিস্তি বরাদ্দ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিকে নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর আগামী ৩০ জুন প্রথম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করবেন মোদি।
এদিন বারাণসীর সভা থেকে পিএম কিষাননিধি প্রকল্পের ১৭তম কিস্তি বাবদ ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানান মোদি। যাতে উপকৃত হবেন ৯.২৬ কোটি কৃষক। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, পিএম কিষাননিধি প্রকল্পের আওতায় এখনও পর্যন্ত দেশের ১১ কোটি কৃষক পরিবার মোট ৩.০৪ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্বনাথধামের অনুষ্ঠানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩০ হাজার মহিলার জন্য 'কৃষি সখী' (Krishi Sakhi Convergence Program) প্রকল্পের আওতায় শংসাপত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। KSCP প্রকল্প গ্রামীণ অঞ্চলের মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এই প্রকল্পের একটি শাখা পদ্ধতি হল 'লাখপতি দিদি'।
[আরও পড়ুন: লোকসভার ধাক্কা থেকে শিক্ষা! চার রাজ্যের বিধানসভায় সেরা ‘সেনাপতি’দের নামাচ্ছেন মোদি-শাহরা]
যোগীরাজ্যের অনুষ্ঠানে তাঁকে সমর্থনের জন্য বারাণসীর অধিবাসীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তৃতীয়বারের ক্ষমতা আরও মজবুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে বিজেপি সরকারকে, দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি নিজেকে বাবা বিশ্বনাথের সন্তান বলেও দাবি করেন। অনুষ্ঠানে প্রধামন্ত্রীর ঢালাও প্রশংসা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যোগীর কথায়, নিজের কাজের জোরে গোটা বিশ্বে ভারতকে নতুন পরিচয় দিয়েছেন মোদি। এর পরেও অবশ্য হিন্দি বলয়ের হার্টল্যান্ড উত্তরপ্রদেশে প্রত্যাশা অনুয়ায়ী ফল করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। নেপথ্য কৃষক ক্ষোভকেই চিহ্নিত করেছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই কুর্সিতে নাম লিখিয়েই পিএম কিষাননিধির ১৭তম কিস্তি বরাদ্দ করা হল, মনে করছে বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: ‘যদি ০.০০১ শতাংশও গাফিলতি হয়, তাহলে…’, NEET মামলায় কড়া বার্তা শীর্ষ আদালতের]
এদিকে নির্বাচনী ধাক্কা কাটিয়ে দ্রুত পুরনো জমি পুনরুদ্ধারে একগুচ্ছ সাংগঠনিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিজেপি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা স্মরণ করতে ২৩ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করবে বিজেপি। ২১ জুন সরকারি উদ্যোগে পালিত হবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। সারাদেশে বিজেপি নেতাকর্মীদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে। ২৫ জুন পালিত হবে ‘আপৎকাল কা কালা দিবস’। এমার্জেন্সির সময় যাঁরা জেলবন্দি ছিলেন, এমন জীবিত ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন বিজেপি নেতারা। তৃতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পর ৩০ জুন প্রথম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বক্তৃতার বিষয়বস্তু কী হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছে।