সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০ বছরে পা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মা হীরাবেন (Heeraben)। মোদির জীবনে তাঁর মায়ের অবদান বিরাট। শনিবার, মায়ের ৯৯তম জন্মদিনে তাই গুজরাটে (Gujarat) পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর জীবনে মায়ের গুরুত্ব ঠিক কতখানি, তাই নিয়ে ধরলেন কলম। দিলেন বিশেষ বার্তাও। জানালেন, তাঁর মা তাঁদের শিখিয়েছিলেন অন্যের সুখে কেমন করে সুখী হওয়া যায়।
আর এই প্রসঙ্গেই মোদি জানিয়েছেন তাঁর বাবার অকালপ্রয়াত বন্ধুর ছেলে আব্বাসের কথা। নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখছেন, ”মা সব সময় অন্যের সুখে নিজের সুখ খুঁজে পেত। আমাদের বাড়িটা ছোট হলেও মায়ের মনটা ছিল বড়। আমার বাবার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাশের গ্রামেই থাকতেন। তাঁর অকালপ্রয়াণ হলে তাঁর ছেলে আব্বাসকে বাবা বাড়ি নিয়ে আসেন। আব্বাস আমাদের সঙ্গেই থাকত। আর এখান থেকেই সে তার পড়াশোনা শেষ করেছিল।”
[আরও পড়ুন: ‘পাত্তা পাননি প্রধানমন্ত্রীও’, ডায়মন্ড হারবার লোকসভার রিপোর্ট কার্ড পেশ করে তোপ অভিষেকের]
হীরাবেন যে কখনও আব্বাসের সঙ্গে তাঁর ও তাঁর ভাইবোনদের তফাত করেননি সেকথাও জানিয়েছেন মোদি। এমনকী, প্রতি বছর ইদের সময়ে আব্বাসের জন্য মা যে স্পেশাল ডিশ তৈরি করতেন, সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। স্মৃতিচারণা করতে বসে এক সাধুর কথাও শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, সেই সাধু তাঁদের প্রতিবেশীদের বাড়িতে এলে তাঁকে নিজেদের বাড়িতেও আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন হীরাবেন। আর আরজি জানিয়েছিলেন, তাঁর সন্তানদের আশীর্বাদ করতে। যাতে তারা অন্যের সুখে সুখী হতে পারে, অন্যেক দুঃখে দুঃখী।
উল্লেখ্য, শনিবার সাতসকালে গুজরাটের গান্ধীনগরে হীরাবেনের (Heeraben) বাড়িতে পৌঁছে যান মোদি। শততম জন্মদিনে মায়ের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তগুলি তিনি তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, হীরাবেনের পা ধুইয়ে দিচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিচ্ছেন মায়ের আশীর্বাদ। ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, “মা, আমার এ বিশ্বে হাজারো আবেগ জড়িয়ে। আজ, ১৮ জুন আমার মা শততম বর্ষে পা দিলেন। এমন বিশেষ দিনে তাঁর প্রতি ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাতে আমি কলম ধরেছি।”