সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দুর্নীতির অভিযোগে জামিনে থাকা মা ছেলে সততার শংসাপত্র বিলি করছেন।’ ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের নির্বাচনী জনসভা থেকে এভাবেই রাহুল সোনিয়াকে পালটা আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।গত সপ্তাহেই নোটবন্দির দু’বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এদিন বিলাসপুরের সভামঞ্চ থেকে কংগ্রেস সভাপতিকে একহাত নিলেন মোদি। সাফ জানালেন, এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তরা কখনওই সততার শংসাপত্র দিতে পারেন না।
এদিন বিলাসপুরের নির্বাচনী জনসভা থেকে রাহুল সোনিয়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির কেসে ফেঁসে থাকা মা ছেলে আমার কাছে নোটবন্দির জবাব চাইছেন। নোটবন্দির ফলে কী উপকার হয়েছে তার হিসেব চাইছেন। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মা ছেলে এখন জামিনে মুক্ত হয়ে সততার শংসাপত্র দিচ্ছেন। এটাই ভুলে গিয়েছেন যে নোটবন্দির কারণেই মুক্তির সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা।’
[বিষ্ণুর নামে করে দেব মসজিদ, টেলিভিশন শোয়ে হুমকি সম্বিতের]
গত সপ্তাহে নোটবন্দির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, ‘নোটবন্দি মোদি সরকারের একটি পাহাড় প্রমাণ ভুল। এখনও এই নোটবন্দির কুফল ভুগছে গোটা দেশ। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। নোটবন্দির মূল লক্ষ্যই ছিল, কালো টাকাকে সাদা করা।’ এখানেই শেষ নয়, এই নোটবন্দিকেই ‘আতঙ্ক’ বলেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
উল্লেখ্য, ২০১৬-র আট নভেম্বর ৫০০ ও হাজারের নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরের ইতিহাস সকলেরই জানা। নোট বাতিলের ঘটনায় একের পর এক বিপত্তি এসেছে। ক্যাশলেস ইন্ডিয়া চালু করতে গিয়ে বার বার ঠোক্কর খেয়েছে মোদি সরকার। বাতিল নোট জমা করার কাজে হিমশিম খেয়েছেন ব্যাংক কর্মীরা। একইভাবে খুচরোর ঘাটতিতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষও। এটিএমে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েও দিনের পর দিন মেলেনি টাকা। ২০০০-র নোট পেয়ে খুচরো করতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
[অযোধ্যা মামলার অগ্রিম শুনানিতে ‘না’, সুপ্রিম নির্দেশে মুখ পুড়ল হিন্দু মহাসভার]
The post জামিনে মুক্তরাই সততার শংসাপত্র দিচ্ছে, গান্ধী পরিবারকে তোপ মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.