সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট মরশুমে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। প্রতিটি জনসভা কিংবা মিছিলে একে অপরকে তীব্র আক্রমণ করছেন দুই দলের নেতা-মন্ত্রীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রতিনিয়ত তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পালটা দিতে ছাড়ছেন না তৃণমূল সুপ্রিমোও। কিন্তু এমন রাজনৈতিক ‘তিক্ততা’র বাইরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ‘অরাজনৈতিক’ সম্পর্কের কথা এবার শোনা গেল মোদির মুখে। হাওড়ার ডুমুরজোলার জনসভায় দাঁড়িয়েই অতীত স্মৃতি তুলে ধরলেন তিনি।
নির্বাচনের তৃতীয় দফাতেও ভোট প্রচারে বাংলায় মোদি। এদিন ডুমুরজোলার জনসভায় চেনা ভঙ্গিতেই বেকারত্ব, তোলাবাজি নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তবে তার মধ্যেই মোদির গলায় শোনা যায় ‘দিদি’র সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। প্রধানমন্ত্রী জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তিনি বাংলায় চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানাতেন। এমন শুভেচ্ছার কী প্রতিক্রিয়া দিতেন মুখ্যমন্ত্রী? সে কথাও ‘ফাঁস’ করেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান নিয়ে মোদি মিথ্যা বলছেন’, RTI-এর তথ্য তুলে তীব্র আক্রমণ মমতার]
মোদি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর বাংলা-সহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদদের জন্মদিনে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা বার্তা দিতেন তিনি। সেই চিঠির বিশেষত্ব ছিল, প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রীর মাতৃভাষায় সেই চিঠি লিখতেন মোদি। একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে যেত বাংলায় লেখা চিঠি। মোদির কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদদের নিজেদের মাতৃভাষায় চিঠি লিখতাম মানে এই নয় যে আমি সব ভাষায় দারুণ পারদর্শী। কিন্তু প্রতিটি ভাষার প্রতি সম্মান জানাতেই এমনটা করতাম।” মমতার জন্মদিনেও একইভাবে বাংলায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন। প্রাপ্তীস্বীকার করে উত্তরও দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাও আবার গুজরাটি ভাষায়। তাতে বেশ খুশি হয়েছিলেন মোদি।
মোদির বাংলা ভাষায় কথা বলা নিয়ে বারবার কটাক্ষ করে তৃণমূল। এমনকী ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মোদিকে দু’মিনিট সঠিকভাবে বাংলায় কথা বলার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু নিজের খামতি এদিন মেনে নিয়েই মোদি বলেন, “শুধু বাংলা নয়, তামিলনাড়ু গেলে তামিলে, কেরলে গেলে মালায়ালমে কিছু শব্দ বলি। উচ্চারণে খামতি আছে ঠিকই। কিন্তু চেষ্টা করি। আমার হিন্দিতেও কিছু ভুল থাকে। বাংলা বলাতে খামতি থাকলেও ভালোবাসায় খামতি নেই।”
এদিকে, এদিন আবার কোচবিহার বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ওঠে। তৃণমূল কর্মীরাই স্লোগান তোলেন বলে খবর। যদিও তাতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মোদি।