সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগের ছড়াছড়ি। বিরোধীরা বার বার দাবি করেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি সরকার। সিবিআই-ইডিকে ব্যবহার করে লোকসভা নির্বাচনের আগে একে একে 'পথের কাঁটা' সরিয়ে দিচ্ছেন মোদি-শাহ, দাবি করে বিরোধীরা। সোমবার সেই দাবি নস্যাৎ করে, ইডিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সাফ দাবি, "ইডি একটি স্বতন্ত্র সংস্থা। তারা যে সমস্ত মামলার তদন্ত করছে তার মাত্র ৩ শতাংশ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।"
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিরোধীদের। মোদির কথায়, "কতজন বিরোধী নেতা জেলে রয়েছেন? এটা কেউ বলতে পারবে না। আসলে সবটাই পাপের ভয়! সৎ মানুষ কোনও কিছুতে ভয় পায় না।" পুরনো কথা তুলে এনে মোদির খোঁচা, "বিরোধীরা যখন সরকার চালিয়েছে, তখন এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তারা ব্যবহার করেছে!" উল্লেখ করেন গুজরাটের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জেলে ঢোকানোর কথাও।
[আরও পড়ুন: ‘টাকা যারই হোক না কেন…’, লোকসভা নির্বাচনের আগে মাস্ককে বার্তা মোদির?]
এর পরই মোদি জমানায় ইডি কত টাকা-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তার হিসেবও দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত সব মামলা মিলিয়ে মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি, আর মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি। শুধু সম্পত্তি নয়, বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিপুল নগদও। সেই খতিয়ান দিয়ে মোদির দাবি, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে উদ্ধার হয়েছিল মাত্র ৩৪ লক্ষ টাকা। আর মোদি সরকারে জমানায় এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া নগদের অঙ্ক ২২০০ কোটি টাকা। শেষে বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই আমলে যতগুলি মামলার তদন্ত ইডি করছে, তার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতার যোগ আছে। বাকি ৯৭ শতাংশ মামলার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই।