সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) আবহে এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিরোধী সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে এক নির্বাচনী জনসভায় মোদি বলেন, “ভোটের প্রচারে ‘ইন্ডি’ (বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’) জোটের নেতারা বলছেন, তাঁরা সিএএ বাতিল করবেন। কিন্তু সে ক্ষমতা কারও হবে না।”
সভা থেকে জনতাকে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) প্রশ্ন, “দেশে এমন কোনও মাই কা লাল (চলতি বাংলায় ভাবানুবাদে ‘বাপের বেটা’) জন্মেছে যে সিএএ বাতিল করতে পারে?” তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আজমগড় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা। পাশাপাশি, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলে মোদি বলেন যে, তারা দেশের বাজেটকে ভাগ করতে চায় এবং সংখ্যালঘুদের জন্য ১৫ শতাংশ বরাদ্দ করতে চায়।
[আরও পড়ুন: ‘ফের বার্থ সার্টিফিকেট পেলাম’, CAA-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত ‘নতুন’ ভারতীয়রা]
মোদি এদিন বলেন, “সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলি সিএএ (CAA) ইস্যুতে মিথ্যা ছড়াচ্ছে তারা উত্তরপ্রদেশ-সহ সারা দেশ দাঙ্গায় জ্বালিয়ে দেওয়ার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিল। আজও এই ইন্ডিয়া জোটের লোকেরা বলে যে মোদি সিএএ এনেছেন এবং যেদিন তিনি যাবেন, সিএএ-ও সরিয়ে দেওয়া হবে। দেশ মে কোন মাই কা লাল প্যায়দা হুয়া হ্যায় জো সিএএ হটা সাকে? (এই দেশে এমন কেউ কি জন্মেছে যে সিএএ বাতিল করতে পারে?) কেউ সিএএ অপসারণ করতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “সিএএ-র অধীনে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এঁরা সেইসব মানুষ যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শরণার্থী হিসাবে দেশে বসবাস করছেন এবং ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের শিকার হয়েছেন।” মোদি আরও দাবি করেছেন যে তিনি বিরোধী দলগুলির জাল ধর্মনিরপেক্ষতার আবরণ সরিয়ে দিয়েছেন যার আড়ালে তারা হিন্দু ও মুসলিমদের একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য করেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবারও মহারাষ্ট্রের নাসিকে একটি প্রচার সভায় মোদি দাবি করেন, ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস একটি পৃথক মুসলিম বাজেট আনবে কারণ তারা আগেও চেয়েছিল এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদি তখন এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর কথায়, “কংগ্রেস সরকারি বাজেটের ১৫ শতাংশ সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ করতে চায়। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন কংগ্রেস এই প্রস্তাব এনেছিল। বিজেপি এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছিল এবং তাই এটি কার্যকর করা যায়নি। কিন্তু কংগ্রেস ফের এই প্রস্তাব আনতে চাইছে। কংগ্রেস নির্বাচিত হলে ধর্মের ভিত্তিতে দুটি বাজেট তৈরি করবে।”