সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যায় রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার বাকি আর ১১ দিন। মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার ‘পবিত্র দায়িত্বভার’ গিয়ে পড়েছে তাঁর কাঁধে। তাই আজ থেকেই কঠোর সংযম শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আগামী ১১ দিন তিনি নানাবিধি বিধিনিষেধের মাধ্যমে ব্রত পালন করে ‘অন্তরের পবিত্রতাকে জাগ্রত’ করতে চান প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১১ দিনের কঠোর ব্রতপালন শুরু করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমি ভাগ্যবান যে এই পবিত্র মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারছি। যে স্বপ্নটাকে অনেক যুগ ধরে, অনেক বছর ধরে আমার হৃদয়ে লালনপালন করে আসছি, সেই স্বপ্নপূরণের সাক্ষী হতে পারছি। মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু নিজেদের মধ্যেও ঈশ্বর চেতনা জাগানোর প্রয়োজন। ঈশ্বরের যজ্ঞের জন্য, আরাধনার জন্য নিজেদের মধ্যেও দৈব চেতনা জাগ্রত করতে হয়। তাই আজ থেকে ১১ দিন আমি কঠোর ব্রতপালন করব।”
[আরও পড়ুন: সাতসকালে সুজিত বসুর বাড়িতে ইডি, তল্লাশি তাপস রায়ের দুই ঠিকানাতেও]
আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার পুজো করে দুপুরের দিকে রামমন্দিরে (Ram Temple) প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার। তার আগে টানা সাতদিন ধরে চলবে রামলালা প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠান শেষ হবে। ১৬ জানুয়ারি দশবিধ স্নান দিয়ে শুরু হবে সাতদিনব্যাপী উৎসব। সরযূ নদীতে স্নান করবেন ভক্তরা। এছাড়াও বিষ্ণু আরাধনা ও গোদান হবে এই দিনে।
[আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের বিরোধী কংগ্রেস, রামমন্দির আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান নিয়ে খোঁচা বিজেপির, পালটা পাইলটের]
১৭ জানুয়ারি রামলালার (Ram Lala) বিগ্রহ নিয়ে শোভযাত্রা হওয়ার কথা ছিল। নিরাপত্তার কারণে সেটা বাতিল করা হয়েছে। ওইদিন মঙ্গল কলসে করে সরযূ নদীর জল নিয়ে যাবেন ভক্তরা। পরের দিন গণেশ অম্বিকা পুজো, বরুণ পুজো, মাতৃকা পুজো, ব্রাহ্মণ বরণ, বাস্তুপুজো হবে। ১৯ জানুয়ারি যজ্ঞের পাশাপাশি অগ্নি ও নবগ্রহ স্থাপন হবে রামমন্দিরে। পরের দিন সরযূ নদীর জলে ধৌত করা হবে রামমন্দিরের গর্ভগৃহ। এছাড়াও অনধিবাস, বাস্তু শান্তি করা হবে ওইদিনই। মন্দির উদ্বোধনের আগের দিনই ১২৫টি কলসের জল দিয়ে স্নান করানো হবে রামলালা বিগ্রহকে। ওই মহাযজ্ঞ শুরুর আগেই মোদি শুরু করলেন অন্তরের পবিত্রতা জাগ্রত করার প্রক্রিয়া।