সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ দেড় বছর পর ফের বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর কোয়াডের (QUAD) বৈঠকে অংশ নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন তিনি। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরের সপ্তাহে মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। আলোচনায় থাকবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে করোনার মতো বিষয়। তবে সবার নজর থাকবে আফগানিস্তান নিয়ে কী বক্তব্য রাখবেন মোদি সেই বিষয়ের উপর ।
[আরও পড়ুন: রাহুল-সিধুর উপস্থিতিতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ চান্নির, ছিলেন না অমরিন্দর সিং]
আফগানিস্তান ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত খুব ভাল জায়গায় নেই আমেরিকা। ঘরে-বাইরে এখনও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে চিন-পাকিস্তান। এই অবস্থায় কোনও তাড়াহুড়ো চায় না ভারতও। সম্প্রতি সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে যা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা-হলে কী ভাবে আফগানিস্তানকে ব্যাখা করা হবে কোয়াড এবং রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে।
কূটনৈতিক মহলের মতে, এই বছরের রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামনে। কারণ, এই ইস্যুতে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রতিপক্ষ চিন-রাশিয়াকে কাছে টানতে হবে। এমনকী, বন্ধু দেশ ব্রিটেন এবং ফ্রান্সকেও এই ব্যাপারে বোঝাতে হবে আমেরিকাকে। কূটনৈতিক মহলের দাবি, যে ভাবে গত কুড়ি বছর আফগানিস্তানে নিজেদের কবর নিজে খুঁড়েছে আমেরিকা, তাতে তালিবানকে সমর্থন ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই বাইডেনের কাছে।
মূলত, আফগানিস্তান (Afghanistan) প্রশ্নে শুধু চিন, পাকিস্তান নয়। ইতিমধ্যেই তালিবান সরকারকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে তুরস্ক এবং কাতার। যা আমেরিকার কাছে আরও উদ্বেগের। বিশেষ করে, কাতার-যারা ইরাক এবং আফগানিস্তান যুদ্ধে আমেরিকাকে সাহায্য করেছিল। যে দেশের তেলের উপর অনেকটা নির্ভর করতে হয় মার্কিন অর্থনীতিকে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানি আগ্রাসনের আবহেই প্রথমবার সশরীরে বৈঠকে বসতে চলেছেন চতুর্দেশীয় অক্ষ বা QUAD রাষ্ট্রপ্রধানরা। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা মিলে তৈরি হয়েছে ‘Quadrilateral Security Dialogue’ বা QUAD গোষ্ঠী। ২৪ সেপ্টেম্বর সদস্যদেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা বৈঠকে বসতে চলেছেন। এই বৈঠকের আয়োজন করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। সশরীরে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগাও এই বৈঠকে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন।