সংবাদ পরিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ঘটনার ১১ দিন পর অবশেষে ওয়ানড় সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১০ আগস্ট ভূমিধসে বিপর্যস্ত ওয়ানড়ে পৌঁছে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি। পাশাপাশি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
গত ৩০ জুলাই মধ্যরাতে ভয়াবহ ধস নামে ওয়ানাড়ের পাহাড়ি এলাকায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নামে দেশের তিন সেনা। এই দুর্ঘটনায় সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের। যদিও বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভয়ংকর সেই দুর্ঘটনার ১১ দিন পর অবশেষে ওয়ানড়ে যাচ্চেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর। একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, ওই দিন বিশেষ বিমানে কন্নুর যাবেন মোদি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে পর্যবেক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা। এর পর বেশকিছু ত্রাণ শিবিরে গিয়ে কথা বলবেন দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে। বর্তমানে এই ত্রাণ শিবিরগুলিতে ঠাঁই নিয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। সেখান থেকে হয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: ভূমিধসে মৃত্যুপুরী ওয়ানড়, ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণার দাবি রাহুলের]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওয়ানড় সফরসূচি প্রকাশ্যে এল সংসদে বিরোধী দলনেতার সরব হওয়ার ঠিক পর। বুধবার ওয়ানড়ের ভয়ংকর ভূমিধসের ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এদিন সংসদে তিনি বলেন, 'ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধসের পর আমি নিজে সেখানে গিয়ে গোটা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছি। যে যে জায়গায় ভূমিধস নেমেছিল তার প্রতিটি জায়গায় গিয়ে ঘটনা চাক্ষুস করেছি আমি। প্রায় ২ কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকা ধসে গিয়েছে। নদী, পাথর ও কাদায় ভরে গিয়েছে গোটা এলাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে গোটা পরিবার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র একজন বেঁচে গিয়েছেন। যে বেঁচে গিয়েছে সে হয়ত নাবালক।'
[আরও পড়ুন: রবীন্দ্রসঙ্গীত গবেষকের পচাগলা দেহ উদ্ধার! বর্ধমানে চাঞ্চল্য]
এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের কাছে মূলত ৩টি আবেদন জানান রাহুল গান্ধী। প্রথমত, এই দুর্ঘটনার জেরে শত শত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক সরকার। দ্বিতীয়ত, যারা যারা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের শোকাহত পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হোক। এবং তৃতীয়ত, ওয়ানড় ভূমিধসকে 'জাতীয় বিপর্যয়' ঘোষণা করুক সরকার। রাহুলের দাবি মতো ওয়ানড় পরিদর্শনের পর এই ঘটনাকে কেন্দ্র জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করে কিনা সেটাই দেখার।