সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রাক্তন দুই সোভিয়েত দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কিয়েভ সফর। কূটনীতির কারবারিদের মতে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে ভারতের জন্য অভূতপূর্ব কূটনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে, দুই 'বন্ধু' দেশের সঙ্গে সখ্য বজায় রাখতে এবং আমেরিকা ও পশ্চিমের ভ্রূকুটির দিকে নজর রেখে জটিল কূটনীতির দড়ির খেলায় নামতে হয়েছে দিল্লিকে।
সূত্রের খবর, আগামী মাসেই ইউক্রেন যাচ্ছেন মোদি। বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইতি টানার প্রক্রিয়া নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি, দ্রুত যুদ্ধবিরতির জন্য কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে দূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন মোদি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত জুন মাসে ইটালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায় দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে। বিশ্লেষকদের মতে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং জেলেনস্কির মধ্যে সেতুর কাজ করতে পারেন মোদি। কারণ, আমেরিকা এবং পশ্চিমের শান্তি আলোচনাগুলোতে মস্কো আমন্ত্রিত ছিল না। থাকলেও পুতিন তা মেনে নিতেন না। ফলে, দৌত্যের জন্য স্বাভাবিকভাবেই দিল্লি মস্কোর পছন্দ। কিয়েভের সে কথা অজানা নয়।
[আরও পড়ুন: ফ্রান্সের রেল ব্যবস্থায় বড়সড় হামলা, নেপথ্যে অন্তর্ঘাত? অলিম্পিকে বাড়ছে নাশকতার আশঙ্কা!]
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই প্রথম ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদি। তাৎপর্যপুর্ণ ভাবে, চলতি মাসেই দুদিনের সফরে মস্কোয় গিয়ে পুতিনকে আলিঙ্গন করেন মোদি। তবে রুশ প্রেসিডেন্টের সামনেই ইউক্রেনে হামলা এবং শিশুহত্যার নিন্দাও করেছেন। তবে নমোর সেই সফর মোটেও ভালভাবে নেয়নি কিয়েভ। উষ্মা প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি বলেছিলেন, "বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী এক জন যুদ্ধাপরাধীকে আলিঙ্গন করছেন। শান্তিপ্রক্রিয়ায় পক্ষে এটা বিরাট ধাক্কা।’’