সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর কাজের প্রতি সমর্থনের নিরিখে বিশ্বের এক নম্বর স্থানটিতে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মার্কিন এক সংস্থার করা সমীক্ষার ফলে দেখা গিয়েছে বিশ্বের ১৩ জন প্রথমসারির রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৭১ শতাংশ নম্বর পেয়ে এক নম্বর জায়গাটি রয়েছে মোদিরই দখলে।
[আরও পড়ুন: রক্ষকই ভক্ষক! দু’বছর ধরে বাবা ও দাদার যৌন লালসার শিকার কিশোরী!]
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মোদির ঠিক পিছনেই রয়েছেন মেক্সিকোর আন্দ্রে লোপেজ, যিনি পেয়েছেন ৬৬ শতাংশ নম্বর। এবং তাঁর পিছনে আছেন যথাক্রমে ইটালির মারিও দ্রাঘি এবং জাপানের ফুমিও কিশিদা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার জাস্টিন ট্রুডো রয়েছে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে। তাঁদের দু’জনেরই প্রাপ্য নম্বর হল ৪৩ শতাংশ। তালিকার সবচেয়ে শেষের নামটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। সম্প্রতি ‘পার্টি গেট’ কেলেঙ্কারিতে দেশে ও বিদেশে বেশ কিছুটা কোণঠাসা বরিস পেয়েছেন মাত্র ২৬ শতাংশ।
অপরদিকে, ‘ডিজঅ্যাপ্রুভাল’ অর্থাৎ অপছন্দের নিরিখে সবার নিচে রয়েছেন মোদিই। সে ক্ষেত্রে তাঁকে অপছন্দ সবচেয়ে কম লোক করেন এমনটাই বোঝা যাচ্ছে যার অর্থ তাঁর কাজ মানুষের সমর্থনই পেয়ে থাকে। ডিজঅ্যাপ্রুভালে ২১ শতাংশ পেয়ে তালিকার সবচেয়ে নিচে রয়েছেন তিনি।
২০২০ সালে মোদির অ্যাপ্রুভাল রেটিং অর্থাৎ তাঁর কাজে মানুষের সমর্থন ছিল ৮৪ শতাংশ। গত বছর তা অনেকটাই কমে যায়। দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় তা নেমে আসে ৬৩ শতাংশে। পরে যদিও ফের কিছুটা ৭১ শতাংশ সমর্থন পেয়ে ফের শীর্ষস্থানে তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেনের পাওয়া ৪৩ শতাংশ নম্বর তাঁর কাজের প্রতি সমর্থন তলানিতে এসে ঠেকার প্রমাণ দিচ্ছে। গত বছর দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই করা একই সমীক্ষায় যেখানে তিনি ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছিলেন, সেখানে গত বছরই কোভিডে দেশে মৃতু্যর সংখ্যা বাড়তে থাকায় কমতে থাকে তাঁর জনপ্রিয়তা।
প্রতিটি দেশেই শিক্ষা, বয়স, ধর্ম, অঞ্চল ভিত্তিতে এই সমীক্ষা করা হয়েছে মার্কিন সংস্থার তত্ত্বাবধানে। তবে গণ্য করা হয়েছে প্রতিটি দেশেরই নিদেনপক্ষে সাক্ষর মানুষদের। এবং আমেরিকার ৪৫ হাজার ও অন্যান্য দেশের গড়ে পাঁচ হাজার মানুষের উপর র্যানডম করা হয়েছে এই সমীক্ষা, যেখানে শীর্ষে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।