সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বামীজীর পূর্ণাবয়ব মূর্তি উন্মোচন করে ‘বামপন্থী’ সংগঠনগুলিকে ইঙ্গিতে কটাক্ষ করেন নমো।
[আরও পড়ুন: আরও বেকায়দায় চিন, ফিলিপিন্সকে ব্রহ্মস সুপারসনিক মিসাইল দেওয়ার ভাবনা শুরু ভারতের]
এদিন অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের চাইতে মতবাদে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর প্রচুর ক্ষতি করেছে। আমাদের বিচারধারা দেশের পক্ষে হওয়া উচিত এর বিপরীতে নয়। ভারতের জন্য স্বামীজীর স্বপ্নকে সত্যি করা আমাদের দায়িত্ব। ঔপনিবেশিক শাসনে আমাদের দাবিয়ে রাখা হত। তখন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে স্বামীজী সাফ বলেছিলেন, আজ সময় আপনাদের কিন্তু আগামী শতাব্দী ভারতের হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) উগ্র বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলিকে ভাষণে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েক দশক ধরেই বাম ছাত্র আন্দোলনের গড় হিসেবে পরিচিত JNU। তবে বিগত কয়েক বছরে সেখানে কিছুটা হলেও গেরুয়া ছাপ স্পষ্ট। গত জানুয়ারি মাসে ফি বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে জেএনইউ-তে হওয়া আন্দোলন ও পরে ‘দক্ষিণপন্থী’দের ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালানোর মতো ঘটনায় অনেকটাই বিব্রত করেছিল নয়াদিল্লিকে। দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। এহেন পরিস্থিতিতে আজ বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ শোনা গেল ‘দেশের চাইতে ইজম’ বড় হওয়ার অভিযোগ।
উল্লেখ্য, বাম ছাত্র সংগঠনগুলির তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি। এদিন পোস্টারে ‘নরেন্দ্র মোদি গো ব্যাক’ স্লোগান লেখা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রকের তরফ থেকে বেশকিছু প্রশ্নের জবাব চাওয়া হয়েছে। পোস্টারে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষা বিরোধী, ছাত্র বিরোধী মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই জমায়েতকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস চত্বর ফের উত্তাল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিজেপিপন্থীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি নয়, বিবেকানন্দের মূর্তি তৈরির বিরোধিতা করছেন ওই পড়ুয়ারা