সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯০ শতাংশ ভারতীয়র মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকার নিচে। ভারতে মোট যে পরিমাণ বেতন দেওয়া হয় তার ৩৫ শতাংশই যায় সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ মানুষের পকেটে। সবচেয়ে কম বেতনে কর্মরত ১০ শতাংশ মানুষ দেশে মোট প্রদেয় বেতনের মাত্র ১.৭ শতাংশ রোজগার করেন। ভারতীয়দের আয় বৈষম্যের এই করুণ ছবি তুলে ধরল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের (Economic Advisory Council) রিপোর্ট ।
‘দ্য স্টেট অব ইনইক্যুয়ালিটি ইন ইন্ডিয়া’ নামের ওই রিপোর্টে দেশের আর্থিক অসাম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের তত্ত্বাবধানে তৈরি কমিটি। আর এই সমস্যা মেটাতে গ্রামাঞ্চলের মতো শহরাঞ্চলেও বেকারদের জন্য নিশ্চিত রোজগারের (Urban Job Guarantee Scheme) বন্দোবস্ত করার পরামর্শ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা কমিটি। তাদের সুপারিশ, আর্থিক অসাম্য কমাতে সামাজিক ক্ষেত্রে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা উচিত সরকারের।
[আরও পড়ুন: এবার মোদির কাছে বন্দুকের লাইসেন্স চাইলেন শিবলিঙ্গ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা অধ্যাপক]
সেই ইউপিএ (UPA) সরকারের আমলেই গ্রামাঞ্চলে ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্প চালু হয়েছিল। যা গ্রামাঞ্চলে কর্মপ্রার্থীদের ন্যূনতম রোজগারের গ্যারান্টি (MGNREGA) দেয়। করোনা লকডাউনের সময় এই ১০০ দিনের কাজ অনেকের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছে। বিশেষ করে যারা কাজের অভাবে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গিয়েছিলেন, সেই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্যতম ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিল এই ১০০ দিনের কাজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একটা সময় এই প্রকল্পকে গর্ত খোঁড়ার প্রকল্প বলে কটাক্ষ করলেও, পরে তাঁর সরকারই এই প্রকল্পকে হাতিয়ার করে গরিব মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সুপারিশ এবার গ্রামের মতো শহরাঞ্চলেও এই ধরনের প্রকল্প চালু হোক।
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ন্যানো চেপেই মুম্বইয়ের হোটেলে রতন টাটা, ভাইরাল ভিডিও দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা]
সকলের জন্য ন্যূনতম আয়ের বন্দোবস্ত হলে দেশে আয়ের বৈষম্য কমবে বলে মনে করছে এই পরিষদ। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রাম ও শহরের মানুষের মধ্যে কাজে যোগদানের হারের ফারাকের হিসেবে বলা যায়, শহরেও মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ রোজগার নিশ্চয়তার মতো প্রকল্প চালু করা উচিত। যেখানে চাহিদা অনুযায়ী নিশ্চিত কাজ মিলবে। এর পাশাপাশি, আয়ের বৈষম্য কমাতে প্রয়োজনে ন্যূনতম ভাতার ব্যবস্থাও করা উচিত সরকারের।