সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত হীরাবেন মোদি। আহমেদাবাদের হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। মৃত্যুসংবাদ পাওয়ামাত্রই আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মাতৃহারা মোদি।
গত বুধবার ইউএন মেহতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের মতো সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি (Heeraben Modi)। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় সুস্থ রয়েছেন তিনি। তবে শুক্রবার ভোররাত ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে হীরাবেন মোদির। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ামাত্রই দিল্লি থেকে আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছন।
তার আগে টুইটে মায়ের মৃত্যুসংবাদ দেন মোদি। তিনি লেখেন, “ঈশ্বরের চরণে বিশ্রাম করছে একটা উজ্জ্বল শতবর্ষ। মায়ের মধ্যে আমি সবসময় এক তপস্বীর যাত্রা, নিঃস্বার্থ কর্মযোগী এবং মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জীবন অনুভব করেছি।”
[আরও পড়ুন: আগামী বছর কবে পরীক্ষা? দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির রুটিন প্রকাশ করল CBSE বোর্ড]
প্রধানমন্ত্রীর ভাইয়ের বাড়িতেই শায়িত ছিল মরদেহ। মরদেহ মাল্যদান করে শেষশ্রদ্ধা জানান মোদি।
এরপর নিজের কাঁধে মায়ের দেহ নিয়ে শববাহী সকট পর্যন্ত পৌঁছন মোদি। সকাল ১০টায় গান্ধীনগরে হীরাবেনের শেষকৃত্য।
সদ্য মাতৃহারা প্রধানমন্ত্রীকে শোকবার্তা জানিয়েছেন রাজনৈতিক মহলের সকলেই। শোকজ্ঞাপন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, জে পি নাড্ডা সকলেই শোকজ্ঞাপন করেন। “মা প্রথম বন্ধু, শিক্ষক। তাঁকে হারানোর ক্ষতি অপূরণীয়। তাঁকে হারিয়ে ফেলা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শোক”, টুইটে শোকপ্রকাশ অমিত শাহের।
টুইটে শোকপ্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি লেখেন, “ছেলের জন্য মা-ই তাঁর পৃথিবী। মা চলে যাওয়ার দুঃখ অসহ্য। এই ক্ষতিপূরণ হওয়ার না।”
শুক্রবার বাংলায় আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বঙ্গে প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, জোকা-তারাতলা মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন এবং গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগদান করার কথা ছিল তাঁর। মায়ের মৃত্যুতে কর্তব্যে অবিচল প্রধানমন্ত্রী। সশরীরে না পারলেও ভারচুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।