রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও সঞ্জিত ঘোষ: নারী দিবসে অর্থাৎ ৮ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভা হওয়ার কথা। ওইদিন বারাসতে মহিলা সমাবেশ করার কথা ছিল নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। কিন্তু সভার দিন ফের বদল হয়ে ৬ মার্চ হল। বিজেপি সূত্রে এমনই খবর।
বারাসতের সভা ৬ মার্চই হচ্ছে বলে বিজেপির (BJP) তরফে জানানো হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মঙ্গলবার জানিয়েছেন, বারাসতের সভা ৬ মার্চ হচ্ছে। প্রথমে ঠিক ছিল সন্দেশখালি ইস্যুকেই মূলত সামনে রেখে ৭ মার্চ বারাসতে মহিলা সমাবেশে যোগ দিয়ে বাংলা থেকে ভোট প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে তা একদিন এগিয়ে আনা হয়। ঠিক হয় সেই সভা হবে ৬ মার্চ। এর পর দু’দিন পিছিয়ে ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসে মোদির সভা হবে বলে গত রবিবার দিল্লি থেকে দলের তরফে জানানো হয়। কিন্তু ৮ মার্চ শিবরাত্রির পুজো রয়েছে। সকাল থেকেই মহিলারা শিবের মন্দিরে গিয়ে পুজো করেন। শিবরাত্রিতে সারাদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পূজার্চনা চলে। যেহেতু সমাবেশটা মহিলাদের নিয়ে তাই শিবরাত্রির দিন যদি প্রধানমন্ত্রীর সভা হয় তাহলে জমায়েতের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।এমনই সূত্রের খবর, তাই বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ৬ মার্চই রাখা হচ্ছে বলে রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘হিরো’ সাজা বাইকচালকদের সতর্কবার্তা, রোহিতের বার্তা হাতিয়ার রাজ্য পুলিশের]
প্রসঙ্গত, এই মার্চেই তিনবার বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকৃতপক্ষে, বাংলায় বিশেষ নজর রেখে এখানে লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha 2024) বিজেপির প্রচারই শুরু করে দেবেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে সন্দেশখালি নিয়ে ইন্ধন দিতে ও ইস্যুটিকে জিইয়ে রাখতে চাইছে বিজেপি। ১ মার্চ আরামবাগে সভা করে রাতে রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন তিনি। পরদিন অর্থাৎ ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে সভা করবেন মোদি। আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরে রাজনৈতিক সভার পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনও করার কথা রয়েছে তাঁর। সেজন্য রাজনৈতিক সভা মঞ্চের পাশে আরেকটি মঞ্চ থাকবে। সেখান থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
[আরও পড়ুন: আড়াই বছরে ২৫ বার, সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল রাজ্যের করা সিবিআই মামলার শুনানি]
১ মার্চ আরামবাগ কালীপুর ময়দানে এবং ২ মার্চ কৃষ্ণনগর গভর্মেন্ট কলেজের মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভা হবে। মঞ্চ তৈরি থেকে হেলিপ্যাড কোথায় হবে সেসব নিয়ে মঙ্গলবারও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন বিজেপি নেতৃত্ব। ছিলেন প্রবাল রাহা, অর্জুন বিশ্বাস, সৈকত সরকার প্রমুখ বিজেপি নেতারা। এছাড়াও, এসপিজির নিরাপত্তা কর্মীরাও মাঠ পরিদর্শন করে গিয়েছেন। এছাড়া যে গাড়িতে করে রোড-শো করে গভর্মনমেন্ট কলেজ মাঠে যাবেন প্রধানমন্ত্রী, সেই বুলেট প্রুফ গাড়িও তৈরি রাখা হয়েছে। মাঠ পরিদর্শনে আসেন ডিভিসির চিফ ইঞ্জিনিয়ার এন কে ভার্মা। ওইদিন কৃষ্ণনগরে ডিভিসি, রেল-সহ বেশ কিছু দপ্তরের প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।