সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভায় প্রথমবার ভাষণ দিতে উঠেই পদে পদে হোঁচট খেতে হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলতে উঠতেই বিরোধী শিবির থেকে স্লোগান ওঠা শুরু হয়। 'মণিপুর-মণিপুর', 'তানাশাহি নেহি চলেগি'র মতো স্লোগান শোনা যায় বিরোধী সাংসদদের মুখে। সেই সব স্লোগান উপেক্ষা করেই ভাষণ দিতে থাকেন মোদি।
বিরোধীদের সেই হট্টগোলের মধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি মূলত তোষণ এবং দুর্নীতি ইস্যুতে ঘুরিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন। একই সঙ্গে গত দুদিন বিরোধী সাংসদরা যে আচরণ করেছেন, ঘুরিয়ে সেটারও নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, "বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র আমাদের তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচিত করেছে। ওদের নয়। আমরা বিকশিত ভারতের সংকল্প নিয়ে মানুষের কাছে গিয়েছিলাম। দেশের মানুষ বিবেচনা করেই আমাদের ফের ক্ষমতায় এনেছেন। অনেকে হাজার অপপ্রচার করে, মিথ্যা ছড়িয়েও পরাজিত হয়েছে। তাই কষ্ট হচ্ছে।"
[আরও পড়ুন: মাটির নিচে ধ্বংস হামাসের ডেরা, কয়েক কিলোমিটারে জুড়ে সমাধি শতাধিক জঙ্গির!]
মোদি এদিন বলেন, "আমরা সবসময় দেশকে এগিয়ে রাখি। সুশাসনকে এগিয়ে রাখি। আমাদের টার্গেটই হচ্ছে দেশকে এগিয়ে রাখা। গত ১০ বছরে আমাদের সব কাজ দেশকে প্রাধান্য দিয়েই।" প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সরকার গত ১০ বছর লাগাতার সবকা সাথ- সবকা বিকাশের চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বিরোধীদের নিশানা করে মোদি এদিন বলেন, "আমরা তুষ্টিকরণে নই, সন্তুষ্টিতে বিশ্বাসী।" এর পর গত ১০ বছরে নিজের সরকারের একাধিক সাফল্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে তখনও সমানে চলছে বিরোধীদের স্লোগান। বাধ্য হয়ে একাধিকবার ভাষণ থামাতেও হয় প্রধানমন্ত্রীকে। বিরক্তির সুরে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, "মানুষ কংগ্রেসকেও জনাদেশ দিয়েছে। সেটা বিরোধী আসনে বসে থাকার। আপনারা এখানেই বসে থাকুন।"
[আরও পড়ুন: ইরান বসন্ত! সুপ্রিম লিডার খামেনেই আর ‘শেষ কথা’ নন ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্রে?]
বিরোধীদের যাবতীয় হট্টগোলের মধ্যেই আগামী দিনের স্বপ্ন দেখান। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এই সরকারের আমলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ। দ্রুত দেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে 'বিকশিত ভারত' হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্নপুরণে বদ্ধপরিকর তাঁর সরকার।