shono
Advertisement

মোদির নিরাপত্তা ইস্যুতে জোরাল হচ্ছে পাঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি, কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত কেন্দ্রেরও

এদিকে, ফিরোজপুরের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে প্রাথমিক রিপোর্ট দিল পাঞ্জাব সরকার।
Posted: 10:07 AM Jan 07, 2022Updated: 12:37 PM Jan 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই একযোগে কংগ্রেস সরকারকে কোণঠাসা করছে বিরোধীরা। বিজেপির পাশাপাশি আম আদমি পার্টি এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh), কমবেশি প্রত্যেকেই মনে করছেন পাঞ্জাব যোগ্য লোকের হাতে নেই। অমরিন্দরের সাফ কথা, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে। তাই নির্বাচনের আগেই পাঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত। বিজেপির একটা বড় অংশও চাইছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ইস্যুতে পাঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় কোনও পদক্ষেপ করা হোক।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। বৈঠকের শুরুতে অনেক মন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে পাঞ্জাব সরকার তথা আইপিএস (IPS) এবং আইএএস (IAS) আধিকারিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তাব্যক্তিরাও মনে করছেন, পাঞ্জাবে সরকারের বিরুদ্ধে এবার বড়সড় পদক্ষেপ করা হতে পারে। তবে, সেটা ঠিক কী তা স্পষ্ট নয়।

[আরও পড়ুন: উপমুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি থামিয়ে ‘মোদি জিন্দাবাদ’ বলালেন BJP কর্মীরা]

এর আগে একাধিকবার আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির নজির রয়েছে। কংগ্রেসের আমলে বহুবার আইন শৃঙ্খলার অবনতির অজুহাত দিয়ে বহু বিজেপি সরকারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সুতরাং অমরিন্দর সিংদের দাবি মেনে পাঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) সাক্ষাতের পর। তবে, কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এটাও ভাবতে হচ্ছে যে এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেস কোনওভাবে রাজনৈতিক সুবিধা পেয়ে যাবে না তো? তাছাড়া বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণে। শীর্ষ আদালতের রায় না দেখে হয়তো বড় কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।

[আরও পড়ুন: COVID-19: ফের দেশে ওমিক্রনে মৃত্যু, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মোদি]

তবে, বিষয়টি একেবারে ছেড়ে দিতে নারাজ কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সরকারি সূত্রের দাবি, আপাতত দায়িত্বপ্রাপ্ত আইপিএস এবং আইএএসদের বদলি বা কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদিও ফিরোজপুরের ঘটনায় দায়ী আইএএস, আইপিএস অফিসারদের বদলি করা হলে পাঞ্জাব সরকার তাতে সায় দেবে না বলেই মনে করছে কেন্দ্র।

এদিকে, পাঞ্জাব সরকার আজ সকালেই ফিরোজপুরের ঘটনায় প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। রিপোর্টে গাফিলতির কোনও উল্লেখ নেই। বলা হয়েছে, পাঞ্জাব জুড়েই এই ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে। এই বিক্ষোভ স্বয়ংক্রিয়। ওইদিন ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছিল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement