রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতার স্বাদ পেলেও এখনও অধরা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থানে বিধানসভা নির্বাচন জিততে তাই কোনও চেষ্টা বাদ রাখছে না সর্বভারতীয় বিজেপি নেতৃত্ব। গত ৮ তারিখ সদ্য যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আসীন হওয়া তেজস্বী সূর্যকে নবান্ন অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলায় পাঠানো হয়েছিল। এবার বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে ভারচুয়াল ভাষণ দেওয়ানোর আয়োজন করল তারা। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সমীক্ষার নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতার তকমা পাওয়া মানুষটিকে সামনে রেখে বিধানসভা ভোটের আগে দলের শক্তিবৃ্দ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিল।
সোমবার দুপুরে দিল্লি থেকে ফেরার সময়ে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেসময় তিনি বলেন, ‘আগামী ২২ তারিখ প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে ভারচুয়ালি থাকবেন। বাংলার সমস্ত মানুষকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানাবেন। এটা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়।’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতবছর কলকাতার পুজোর উদ্বোধনের জন্য এসেছিলেন। এই বছর বঙ্গ বিজেপির সেরকম কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চাইলে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘পুজোর আগেই একদিনের জন্য উত্তরবঙ্গে আসবেন অমিত শাহ। তবে এখনও দিন ঠিক হয়নি।’
[আরও পড়ুন: থিমেও করোনা, সংক্রমণের ভয় না পেয়ে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেবে এই পুজো]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালেই প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল যে পুজোর আগেই সংগঠনের হালচাল, দলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখকে বাংলায় আসছেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার বাড়িতে হওয়া বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল।
আসলে বিধানসভার (Assembly Election 2021) প্রস্তুতির জন্য এখন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের দিল্লি যাতায়াত চলছেই। গত মাসেও এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর ফের অক্টোবরের প্রথম দিনই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির বাড়িতে বৈঠকে বসেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা-সহ রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। একুশের ভোটে গেরুয়া শিবিরে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করাই ছিল আলোচনার মূল বিষয়। নয়া কৃষি আইনকে সামনে রেখে প্রচার তো চলবেই, এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যুতে জোর দিয়ে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের ভোট প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন নাড্ডা। এলাকাভিত্তিক সেই স্থানীয় ইস্যুকে হাতিয়ার করার পরামর্শ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সেখান থেকেই ঠিক হয়েছে, নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখতে পুজোর আগেই রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ। পুজোর পরে আসবেন জে পি নাড্ডা।