সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার ভোররাতে প্রয়াত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মা হীরাবেন মোদি (Heeraben Modi)। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে খবরটি জানানোর পরই সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে দেন মাতৃহারা মোদি। দ্রুতই আহমেদাবাদে পৌঁছে যান মোদি। তাঁকে ঘিরে রেখেছিল তাঁর পরিবার পরিজন। সকাল ১০টায় গান্ধীনগরে হীরাবেনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কিন্তু দেখা যায়নি মোদির স্ত্রী যশোদাবেনকে (Jashodaben)। এবারও আড়ালেই থেকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী জায়া।
১৯৬৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সংসারজীবন শুরু হয় যশোদাবেনের। তখন মোদি ১৮, তাঁর স্ত্রী ১৬। ৩ বছর বয়সেই তাঁর সঙ্গে বাগদান হয় মোদির। ১১ বছরে বিয়ে। সংসারজীবন শুরু এর পাঁচ বছর পরে। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য টিকেছিল মাত্র ৩ মাস। এরপরই সংসারধর্ম ত্যাগ করেন মোদি। যশোদাবেন ফিরে যান গুজরাটের ঈশ্বরওয়ারা গ্রামে। জীবন কাটিয়ে দেন স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে। অবসর নেওয়ার পরে এখন উঞ্ঝাগ্রামে থাকেন ভাইদের সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিজেপি কর্মীদের, মঞ্চেই উঠলেন না মমতা]
২০১৪ সালে প্রথমবার যশোদাবেন-মোদির সম্পর্কের কথা জানতে পারে সারা দেশ। লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় যশোদাবেনের নাম উল্লেখ করেন তাঁর স্ত্রী হিসেবে। সেই সময় যশোদাবেন আবেগপ্রবণ হয়ে জানিয়েছিলেন, ”এতগুলো বছর পেরিয়ে এসে উনি আমার কথা মনে রেখেছেন এতে আমি আনন্দিত।”
তবে সেই সঙ্গে এও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, স্ত্রীর নাম জানানো বাধ্যতামূলক হওয়ার পরই তাঁর নাম জানিয়েছেন মোদি। ভোটের সময় স্বামীর মঙ্গলকামনায় উপবাসও করেছিলেন। কিন্তু শপথগ্রহণে আমন্ত্রিত হননি যশোদাবেন। এরপর কখনও মোদির সঙ্গে তাঁকে দেখা যায়নি। শাশুড়ির মৃত্যুতেও সেই ধারা অব্যাহত রইল। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এক বিরাট ক্ষতির দিনেও আড়ালেই রইলেন যশোদাবেন।