সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই টিকাকরণ নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। একদিকে যেমন ১৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরুর দিনক্ষণ জানালেন তিনি, তেমনই নিয়ন্ত্রিতভাবে দেশে ‘বুস্টার ডোজ’ চালুর কথাও জানিয়ে দিলেন তিনি। সবমিলিয়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত করোনা যুদ্ধে দেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Advertisement
কী জানালেন প্রধানমন্ত্রী?
- এবার করোনার টিকা (COVID-19 Vaccine) পাবেন দেশের ১৫ ঊর্ধ্ব বয়সিরাও। ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে এই টিকাকরণ শুরু হবে।
- প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা পাবেন ‘প্রিকশন ডোজ’। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে এই পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হবে।
- ষাটোর্ধ্বদের কো-মর্বিডিটি থাকলে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া যাবে ‘প্রিকশন ডোজ’। তাঁদেরও এই টিকাকরণ শুরু ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে।
[আরও পড়ুন: চাঁদার জুলুমবাজি, পুরুলিয়ায় বেড়াতে এসে আক্রান্ত পর্যটকেরা]
এদিন প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ের এখনও পর্যন্ত অভিজ্ঞতা বলছে, সব নিয়ম মেনে চলাই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার। আরেকটা উপায় হল টিকাকরণ। আমাদের দেশও বহুদিন আগে থেকে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করেছে।”
মোদি এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন, ১১ মাস ধরে দেশে টিকাকরণ অভিযান চলছে। দেশের সব নাগরিকদের চেষ্টাতেই ১৪১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া গিয়েছে। ভারতের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই পেয়েছেন। প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। অনেক রাজ্য কঠিন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করেও ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ করেছে। খুব শীঘ্রই ন্যাজাল ভ্যাকসিন এবং বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিন শুরু হবে।
মোদি এদিন আরও একবার দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, “করোনা এখনও বিদায় নেয়নি। তাই বিজ্ঞানসম্মতভাবে আমাদের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।” মোদির বক্তব্য, “আজ বিশ্বের বহু দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। ভয় পাবেন না। সাবধান থাকুন। সতর্ক থাকুন। মাস্ক পড়ুন। হাত ধোবেন নিয়মিত। ভাইরাস যেমন মিউট্যান্ট হচ্ছে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ছে।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, “আজ দেশে ১৮ লক্ষ আইসোলেশনে বেড আছে। ৫ লক্ষ অক্সিজেন সাপোর্টেড বেড তৈরি হয়েছে। ১ লক্ষ ৪০ হাজার আইসিইউ বেড, ৯০ হাজার বেড বাচ্চাদের জন্যও আছে। ৩ হাজারের বেশি পিএসএ অক্সিজেন প্লান্ট কাজ করছে। ৪ লক্ষ অক্সিজেন সিলিন্ডার দেশজুড়ে দেওয়া হয়েছে।”