সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “গুরুদেবের (Rabindranath Tagore) দৃষ্টিভঙ্গিই আত্মনির্ভর ভারতের আধার। গোটা বিশ্বের উন্নয়নের জন্য ভারতের বিকাশ হওয়া দরকার। আমাদের বিকাশ একান্ত নয়, বিশ্বজনীন।” বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) শতবর্ষের অনুষ্ঠানে নিজের ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র চিন্তাধারা আর কবিগুরুর বিশ্বজনীন উন্নয়নের ভাবধারাকে মিশিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বলে দিলেন, “গুরুদেব আমাদের স্বদেশী সমাজের সংকল্প গড়ে দিয়েছিলেন। উনি আমাদের গ্রাম, আমাদের সমাজকে আত্মনির্ভর দেখতে চাইতেন। আমাদের শিল্প-বাণিজ্যকে আত্মনির্ভর দেখতে চাইতেন। আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতিকে আত্মনির্ভর দেখতে চাইতেন।” ভারতের আত্মনির্ভরতার হওয়ার পথের পাথেয় সেই চিন্তাধারাই।
শুধু রবীন্দ্রনাথ নন, আত্মনির্ভর ভারতের চিন্তাধার যে আসলে বাংলার বিভিন্ন প্রজন্মদের বিপ্লবীদের আত্মবলিদানেরই ফসল, এদিন সেটাও বুঝিয়ে দিয়ে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বললেন, “ভারতের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য বাংলার বহু প্রজন্ম আত্মবলিদান দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর মুখে এদিন উঠে আসে ক্ষুদিরাম বোস, প্রফুল্ল চাকী, বীণা দাস, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারদের নাম। তাঁর কথায়, “এঁদের আদর্শের কথা মাথায় রেখে আমাদের আত্মনির্ভর ভারতের সেই লক্ষ্যে বাঁচতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গুজরাটের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথের গভীর সম্পর্ক। গুরুদেব বহুবার গুজরাটে গিয়েছেন। সেখানেই তিনি দুটি বিখ্যাত বাংলা কবিতাও রচনা করেছেন।
পৌষমেলার সঙ্গে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ স্লোগান একেবারে পরিপূরক বলেও মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। এবারে মহামারীর জন্য পৌষমেলায় যে শিল্পীরা আসতে পারেননি, বিশ্বভারতীর ছাত্রদের তাঁদের পাশে থাকতে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়াদের পরামর্শ দেন, অনলাইনে এই শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। তাঁদের শিল্পকর্মকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে। যাতে এই শিল্পীরা সম্মান পান।
[আরও পড়ুন: কাঁথির সভায় অমিত শাহকে কটাক্ষ সৌগতর, গরহাজির অধিকারী পরিবারের সকলেই]
এদিকে, বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একশো বছর বছর পূর্তি। শিক্ষার এই মন্দিরে আদর্শ মানুষ তৈরির চেষ্টা শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আমাদের উচিত এই মহান দার্শনিকের ভাবধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।