সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজ এম ভি গঙ্গাবিলাসের (MV Ganga Vilas) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার এই ভারচুয়াল উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও ভারচুয়ালি উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বারাণসী থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত এই ক্রুজ ছুঁয়ে যাবে কলকাতাকেও। ২৭টি নদী পেরিয়ে মোট ৫২টি পর্যটনস্থলে ঘুরবে গঙ্গাবিলাসের জাহাজ। বাংলাদেশেরও বেশ কয়েকটি অঞ্চল এই ক্রুজের আওতায় পড়বে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জলপথ পরিবহনে নয়া যুগের সূচনা হবে এই ক্রুজের মাধ্যমে।
পাটনা-সহ বিহারের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে পৌঁছবে গঙ্গাবিলাসের জাহাজ। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী এই অনুষ্ঠানে এসে জানিয়েছেন, রাজ্যের স্থানীয় প্রথা মেনে ক্রুজের অতিথিদের স্বাগত জানানো হবে। ঘুরিয়ে দেখানো হবে বিহারের ঐতিহাসিক স্থানগুলি। এই অনুষ্ঠানেই যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, নয়া ক্রুজের হাত ধরেই কাশীর নতুন পরিচয় প্রকাশিত হবে। এই অঞ্চলের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যাবেন ক্রুজের যাত্রীরা। বিশ্বের দীর্ঘতম ক্রুজের উদ্বোধন ক্রুজের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালের আগে দেশের জলপথগুলি সেভাবে ব্যবহার হত না। কিন্তু নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে ১১১টি জাতীয় জলপথ শুরু করেছে। পরিবহন ,বাণিজ্য ও পর্যটন- তিন ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে নয়া জলপথগুলি।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদে কর্মীদের ধর্মঘট, জানুয়ারির শেষে চারদিন বন্ধ ব্যাংক!]
তিনতলা বিলাসবহুল জাহাজটি রওনা দেবে বারাণসী থেকে। গঙ্গা আরতির পর বারাণসী ছেড়ে জাহাজটি পৌঁছে যাবে বৌদ্ধধর্মের ঘাঁটি সারনাথে। এরকম ঐতিহ্যপূর্ণ ৫২টি পর্যটনস্থল ছুঁয়ে যাবে জাহাজটি। বিশ্বের বৃহত্তম ব দ্বীপ অসমের মাজুলি, বাংলার ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনও ঘুরে দেখা যাবে এই জাহাজ থেকে। এম ভি গঙ্গা পার করবে ৩২০০ কিলোমিটার, যা বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রাপথ। এর মাঝে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ, ধর্মস্থান, জাতীয় উদ্যান, নদীঘাট ছুঁয়ে যাবে জাহাজটি। পাটনা, কলকাতা, গুয়াহাটি ও ঢাকার মতো একাধিক ঐতিহ্যবাহী শহরের ধার ঘেঁষে ভেসে যাবে এম ভি গঙ্গা।
জানা গিয়েছে, বিলাসবহুল ক্রুজটি লম্বায় ৬২ মিটার। চওড়ায় ১২ মিটার। তিনতলা জাহাজটিকে সাজিয়ে তুলতে খরচ হয়েছে ৬৮ কোটি টাকা। রয়েছে ১৮টি সুইট। যেখানে ৩৬ জন পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব। তিনটি ডেক শুধু নয়, জাহাজের অন্দরে রয়েছে সান ডেক, যেখানে বসে সমুদ্রবক্ষ থেকে একান্তে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সাক্ষী থাকা যাবে। রয়েছে স্পা, লাউঞ্জ, রেস্তরাঁ, লাইব্রেরি ও জিম। ৫২ দিনের গোটা ট্রাভেল প্যাকেজ বুক করতে চাইলে প্রতি রাতের জন্য খরচ হবে ৫০ হাজার টাকা। তবে সমুদ্রের আমেজ উপভোগ করার জন্য লম্বা সময় হাতে না থাকলে বারাণসী থেকে কলকাতা বা কলকাতা থেকে ডিব্রুগড়ের প্যাকেজও বুক করা যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ইঁদুরের ‘তাণ্ডব’, সংকটের মুখে কাঠের বিগ্রহ]