সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার বিমানবন্দর থেকে রওনা দেওয়ার আগে একাধিক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর আমেরিকা সফরের কেন্দ্রে থাকছে আফগানিস্তান ও চিন।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় বায়ুসেনার পরবর্তী প্রধান হচ্ছেন বিক্রম রাম চৌধুরী, ঘোষণা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের]
এদিন সকালে আমেরিকার উদ্দেশে বিমান ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা-সহ বেশ কয়েকজন। সেখানে রাষ্ট্রসংঘে ভাষণের পাশাপাশি টানা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। আমেরিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়া ছাড়াও বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে মোদির। বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও বৃহস্পতিবার মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এছাড়াও ওইদিনই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওসিহিদে সুহার সঙ্গেও মোদির সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। আর এই কূটনৈতিক তৎপরতার কেন্দ্রে যে আফগানিস্তান ও চিনের গতিবিধি থাকবে তা স্পষ্ট।
আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আনার এই সফর উপলক্ষে আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। তাছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়ে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করাও আমাদের উদ্দেশ্য।” তিনি আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কোয়াড সামিটে অংশ নেব আমি। জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক হবে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিকে ভবিষ্যতে আমাদের সহযোগিতা নিয়ে কথা হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান প্রসঙ্গটি মোদীর তিন দিনের সফরে বিভিন্ন মঞ্চে অবশ্যই তোলা হবে। পাকিস্তানের নাম না করে আজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তালিবান সরকারে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রাধান্য ভারতের কাছে উদ্বেগের। তা আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলবেন প্রধানমন্ত্রী। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা ইমরানের আগে। সেখানে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সরব হতে দেখা যাবে মোদিকে।