সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাখির চোখ ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানার জনজাতি ভোটব্যাঙ্ক। ফলে ‘ভগবানে’র সামনে নতমস্তকে নমো। বুধবার বিরসা মুন্ডার (Birsa Munda) জন্মদিনে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) উলিহাটু গ্রামে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্য দান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন তিনি। পাশাপাশি কিংবদন্তি জনজাতি নেতার জন্মবার্ষিকীতে ঝাড়খণ্ড থেকেই ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’-র সূচনা প্রধানমন্ত্রীর। পিছিয়ে পড়াদের জন্য ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারের মধ্যেই বুধবার ঝাড়খণ্ডে বিরসা মুন্ডার জন্মস্থান উলিহাটু গ্রামে যান মোদি। বিরসা মুন্ডা মেমোরিয়াল পার্কেও স্বাধীনতা সংগ্রামী জনজাতি নেতার মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এছাড়াও এদিন ‘ভগবান’কে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন জনজাতি প্রতিনিধি দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এছাড়াও মোদির সফরসঙ্গী ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর, ওম বিড়লা প্রমুখ। জনজাতি গৌরব দিবসের সকালে এক্স হ্যান্ডেলও বিরসা মুন্ডাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোদি। লেখেন, “ভগবান বিরসা মুন্ডাজিকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। জনজাতি গৌরব দিবসের বিশেষ দিনে দেশজুড়ে আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।”
[আরও পড়ুন: রাহুল ‘মূর্খের সর্দার’! ভোটপ্রচারে কংগ্রেস নেতাকে তীব্র কটাক্ষ মোদির]
বুধবার ঝাড়খণ্ড থেকেই ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’-র সূচনা করছেন মোদি। দু’মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে যেতে আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে তিন হাজার প্রচার রথ পৌঁছবে। এই সঙ্গে বিশেষ ভাবে দুর্বল জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য ২৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন মোদি।
কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, এই প্রথম দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী বিরসা মুন্ডার জন্মস্থানে গেলেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই স্বাধীনতা সংগ্রামী জনজাতি নেতার জন্মদিনে ঝাড়খণ্ডের উলিহাটু গ্রামে গিয়েছেন। স্থাপন করেছেন সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার ৩০টি কলেজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত। এছাড়াও আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতিকল্পে একাধিক প্রকল্প এনেছেন। স্বীকৃতি দিয়েছেন আদিবাসী ভাষা ও সংস্কৃতিকে।