নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: উন্নত ভারত গড়ার লক্ষ্যে উন্নত বাংলা তৈরি করতে হবে। সেই মিশনকে সামনে রেখে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই বৈঠকে সাংসদদের কার্যত বঙ্গজয়ের স্বপ্ন দেখালেন তিনি। বললেন, ''মানুষের ভরসা পেয়েছি। সুদিন আর বেশি দূরে নয়।'' বোঝালেন, জনসমর্থন ভোটবাক্সে প্রতিফলন করাতে হলে বিজেপির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপর জনতার ভরসা আদায় করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর এও মত যে ২০২৪-এর নির্বাচনে বাংলায় যা ফল হয়েছে, তা প্রকৃত জনরায়ের প্রতিফলন নয়।
বিয়াল্লিশে মাত্র ১২ বিজেপি (BJP)। শাসকশিবির জয়ী ২৯ আসনে। এককথায় ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok Sabha Polls) বাংলার রেজাল্ট এটাই। ২০১৯ সালের তুলনায় বিজেপির ফল বেশ কিছুটা খারাপ। এনিয়ে বহু কাটাছেঁড়া হয়েছে ইতিমধ্যে। এমন অবনতির কারণ খুঁজতে একের পর এক বৈঠক হয়েছে। এবার বাংলার জয়ী সাংসদরা দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে। সোমবার দিল্লি গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুর, রাজু বিস্তা, জয়ন্ত রায়রা। সূত্রের খবর, বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। বাংলায় তৃণমূল সরকারের 'অত্যাচার' নিয়ে নালিশ জানান তাঁরা। কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন। উনিশের তুলনায় আসন সংখ্যা কমে যাওয়া, কয়েকজন সাংসদ (BJP MP) পরাজিত হওয়া নিয়ে কারও প্রতি কোনও অসন্তোষ প্রকাশ করেননি তিনি। উলটে সকলকে পরবর্তী লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন। কীভাবে আগামিদিনে বাংলার (West Bengal) ক্ষমতায় আসা যাবে, তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
[আরও পড়ুন: ‘আপনাকেই চাই না’, ‘সংখ্যালঘু’ মন্তব্য নিয়ে বিধানসভায় শুভেন্দুকে তোপ মমতার]
সূত্রের খবর, মোদি সাংসদদের জানিয়েছেন যে বাংলার মানুষ বিজেপিকে গ্রহণ করেছে। মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছে। এটাই বাস্তব।সেই দিন খুব দূরে নয়, যেদিন বিজেপি বাংলার ক্ষমতায় আসবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা (Welfare) বাংলার মানুষ কতটা পাচ্ছেন, সেদিকে সাংসদদের কড়া নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। বলেছেন, এ প্রসঙ্গে আরও যা যা সাহায্য প্রয়োজন, তা করতে প্রস্তুত তাদের সরকার। এভাবেই বঙ্গবাসীর মন জয়ের চেষ্টা করতে হবে বলে সাংসদদের ভোকাল টনিক দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে দেখা করে নতুন করে লড়াইয়ের অক্সিজেন নিয়ে ফিরলেন তাঁরা। তাতে কি বাংলায় গেরুয়া সৈনিকদের লড়াই কিছুটা জোরদার হবে? উত্তর দেবে সময়।