ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সশরীরে নয়, ভারচুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলায় বিজয়বর্গীয়।
শনিবার রাতেই বীরভূমে যান কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayavargiya)। রবিবার সকালে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অনুপম হাজরা। ঠিক কী কারণে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তাঁরা? কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, মূলত আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীয় প্রতিষ্ঠ শতবর্ষের অনুষ্ঠান নিয়েই আলোচনা হয় তাঁর। আমন্ত্রণ পেলেও প্রধানমন্ত্রী নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন না। তবে অনুষ্ঠানে ভারচুয়ালি যোগ দেবেন তিনি। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে হালিশহরের বিজেপি বুথ সভাপতি খুন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান মানছেন না বলে তোপ দেগেছেন তিনি। শিক্ষার মান নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। তাঁর কথায়, বাংলায় এক সময় শিশুর মান ছিল সবচেয়ে উন্নত। তবে বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে তা একেবারেই তলানিতে ঢেকছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক।
[আরও পড়ুন: ‘শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, রাজীবদাই ভরসা’, রাতের অন্ধকারে ডোমজুড়ে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য]
দলীয় নেতার মতো একই সুর অনুপম হাজরার গলাতেও। শিক্ষাক্ষেত্রে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ‘অরাজকতা’ তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাঁর। এদিনের বৈঠকে বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয় বলেও জানান অনুপম। জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার মাঝেই রাজ্যে ফের আসছেন অমিত শাহ। তিনিও কী যেতে পারেন বিশ্বভারতীতে, সেই প্রশ্নেও ঠিক খোলসা করে কোনও উত্তর দেননি অনুপম। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও নির্ধারিত কর্মসূচি নেই। তবে বীরভূম (Birbhum) জেলা সফর করবেন অমিত শাহ। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক, পদযাত্রা এসব কর্মসূচি রয়েছে। তার মাঝে কিছুটা সময় বের করে অরাজনৈতিকভাবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতেও পারেন শাহ। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
দেখুন ভিডিও: