রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির পাখির চোখ ২০২১ সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। সেই যুদ্ধে জিততে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছেন তাঁরা। সেই লক্ষ্যে বঙ্গবাসীর মন জয় করতে দুর্গাপুজোকেই টার্গেট করেছে গেরুয়া শিবির। তাঁরা আগেই জানিয়েছিলেন, এবার মহাষষ্ঠীতে বঙ্গবাসীকে ভারচুয়াল শুভেচ্ছা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার জানা গেল, বাংলার এক পুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধনও করবেন তিনি।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতার স্বাদ পেলেও এখনও অধরা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থানে বিধানসভা নির্বাচন জিততে তাই চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না সর্বভারতীয় বিজেপি নেতৃত্ব। গত ৮ তারিখ সদ্য যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতির পদে নতুন দায়িত্ব নেওয়া তেজস্বী সূর্যকে নবান্ন অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলায় পাঠানো হয়েছিল। এবার বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে ভারচুয়াল ভাষণ দেওয়ানোর আয়োজন করে তাঁরা। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বিজেপির ঘোষণা, বাংলার পুজো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২১! ষষ্ঠীর দিন বঙ্গবাসীকে ভারচুয়াল শুভেচ্ছা জানাবেন মোদি]
সল্টলেকে ইজেডসিসি-র ভিতরে একটি দুর্গাপুজো হয়। মহাষষ্ঠীর দিন রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি ইজেডসিসি-র সেই পুজোরও ভারচুয়াল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, “ইজেডসিসি-র ওই পুজোর সঙ্গে যুক্ত সংস্কৃতি জগতের বহু ব্যক্তিত্ব। সল্টলেকের কিছু বিশিষ্ট মানুষজন এবং বিজেপির সদস্যরাও যুক্ত রয়েছেন ওই পুজোর সঙ্গে। সেই পুজোটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।” ষষ্ঠীর দিন ইজেডসিসিতে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। সেখানে হলের ভিতরে প্রধানমন্ত্রীর ভারচুয়াল ভাষণ হবে। রাজ্যের কোণায় কোণায় প্রধানমন্ত্রীর কথা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিন। । যেখানে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান। প্রসঙ্গত, গত বছর বাংলার পুজো উদ্বোধন করতে দেখা গিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এবার পুজোর আগে সাংগাঠনিক কাজকর্ম দেখতে রাজ্যে আসছেন তিনি। দলীয় বিষয় খতিয়ে দেখবেন। তবে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ভারচুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।