রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির উদ্যোগে দুর্গা পুজোকে ঘিরে সাজসাজ রব সল্টলেকের ইজেডসিসিতে। এই পুজোর সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারচুয়াল ভাষণ দেবেন বলে কথা। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, মহাষষ্ঠীর সকালে দিল্লিতে নিজের বাসভবন থেকে বাংলার মানুষকে শারদ শুভেচ্ছা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। একেবারে বাঙালি বেশে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে সেদিন নিজের বাসভবনে প্রথমে মাতৃবন্দনা করবেন নরেন্দ্র মোদি। তারপর সেখান থেকে দেবেন ভারচুয়াল ভাষণ।
প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গান গাইতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পুরোও অনুষ্ঠানটি দলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচার হবে। শনিবার দুপুরে ইজেডসিসিতে পুজো ও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে আসেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়, বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত, রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার-সহ অন্যান্য নেতারা। বিজেপির উদ্যোগে এই পুজোর মূলত দায়িত্বে দলের সাংস্কৃতিক সেল ও মহিলা মোর্চা। এই দুই সংগঠনের ব্যানারেই হবে পুজো।
[আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত দিলীপ ঘোষের ফুসফুসে সংক্রমণ, পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় চিকিৎসকরা]
পুজোর চারদিন বিরাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ষষ্ঠীর দিন প্রধানমন্ত্রীর ভারচুয়াল ভাষণের পাশাপাশি ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচ যেমন মঞ্চস্থ হবে। আবার সংস্কৃতে হবে মাতৃবন্দনা। থাকছে ১০ জন মহিলা ও ১০ জন পুরুষ ঢাকির দল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য সম্পাদিকা সংঘমিত্রা চৌধুরি। সংঘমিত্রা জানালেন, ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচ ছাড়াও আইপিএলে গান গেয়েছেন দুই শিল্পী সৌমেন্দ্র ও সৌম্যদ্বীপ তারাও আগমনী গান গাইবেন। নবমী পর্যন্ত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরুলিয়ার ছৌনাচ, বাউল গান, দোহারের গান ছাড়াও থাকছে আরও নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যার মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে।
[আরও পড়ুন : ‘পুজোর শহরকে নিরাপদে রাখতে নিজেদের অবহেলা নয়’, সহকর্মীদের খোলা চিঠি অনুজ শর্মার]
দুর্গাপুজো ও বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বাঙালি আবেগকে ছুঁতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেই বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে এবার একাত্ম হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বাঙালি সাজেই তিনি দেবীর বোধনের দিন শুভেচ্ছা বার্তা দেবেন রাজ্যবাসীকে।