সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আগামীকাল মঙ্গলবার এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের শেষ ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী পদে আসিন হওয়ার পর থেকে লালকেল্লার প্রতিটি ভাষণেই মোদি নিত্য-নতুন সরকারি প্রকল্প বা নীতির কথা ঘোষণা করেছিলেন। এবারও তেমনই নতুন ঘোষণা করার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি লোকসভা ভোটের আগে মানুষের মনে মোদি সরকারকে নিয়ে আবেগ তৈরি করতে তিনি জাতীয়তাবাদকেই নিজের ভাষণে সবথেকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরবেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। যার সূচনা তিনি ১১ আগস্টেই করেছেন। দেশজুড়ে তেরঙ্গা যাত্রার ঘোষণা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নিজের অ্যাকাউন্টের প্রোফাইলে নিজের ছবির বদলে তেরঙ্গা রেখেছেন।
[আরও পড়ুন: নাশকতার আশঙ্কার মধ্যে বাড়তি সেনা নিরাপত্তা, মণিপুরে শুরু স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি]
সদ্যসমাপ্ত সংসদের বাদল অধিবেশনে মণিপুরের হিংসা নিয়ে মোদি সরকারকে প্রশ্নের মুখ ফেলে দিয়েছিল বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’জোট। অনাস্থা প্রস্তাবের উপর জবাবি ভাষণে মোদি দু’ঘন্টার উপর বক্তব্য রাখলেও, মণিপুর নিয়ে খুব বেশি শব্দ খরচ করেননি তিনি। সে নিয়েও তাঁকে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সেই ক্ষত ঢাকতে ভাষণে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির গুরুত্ব ও উন্নয়নে তাঁর সরকারের উদ্যোগ নিয়ে বেশ খানিকটা সময় তিনি নিশ্চিতভাবেই ব্যয় করবেন। এদিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। লালকেল্লা ও তার আশপাশের এলাকা প্রতিবারের মতোই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোদির ডাকে সাড়া! জম্মু-কাশ্মীরের বাড়িতে তেরঙ্গা ওড়ালেন হিজবুল জঙ্গির ভাই]
লালকেল্লার প্রাচীর থেকে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা যে পূরণ হয়েছে বোঝাবেন মোদি। ব্রিটিশ আমলের দাসত্বের চিহ্ন মুছে ফেলতে ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি স্থাপন থেকে বাদল অধিবেশনের শেষদিনে সংসদে আইপিসি, সিআরপিসি-র পরিবর্তে নতুন তিনটি আইনের বিল পেশও মোদির ভাষণে থাকতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সমাজের প্রতিটি শ্রেণির উপর যে তাঁর সরকার সমানভাবে নজর দিচ্ছে এবং তাদের উন্নতিকল্পে মোদি সরকার বদ্ধপরিকর –এই বার্তা তুলে ধরার উপরেও জোর দেবেন তিনি। সেই মতোই এবারের লালকেল্লার প্রধান সমারোহ অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি হিসেবে ১৮০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাতে গ্রামপ্রধান থেকে শুরু করে শিক্ষক, নার্স, কৃষক, জেলে, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টে কাজ করেছেন এমন শ্রমিক, খাদিতে কাজ করছেন শ্রমিক, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক, কিসান সম্মান নিধি পান এমন দুই ব্যক্তিসহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কর্মরত কর্মীরাও রয়েছেন।