shono
Advertisement

জঙ্গি হামলার সময় আদৌ কি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন মোদি? জানুন সত্যি ঘটনা

ফের প্রকাশ্যে ঘৃণ্য রাজনীতি৷ The post জঙ্গি হামলার সময় আদৌ কি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন মোদি? জানুন সত্যি ঘটনা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:02 AM Feb 23, 2019Updated: 11:16 AM Feb 23, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার খবর পেয়েও, শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় তুলে এমনই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস৷ মোদির শুটিংয়ের ছবি টুইটারে প্রকাশ করে গতকাল তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ প্রধানমন্ত্রীকে ‘প্রাইম টাইম মিনিস্টার’ বলেও কটাক্ষ করেন রাহুল৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, কংগ্রেস যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগে সরব হয়েছে, তা কতটা সত্যি? এই উত্তরেরই খোঁজ করেছে সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’৷ এবং তাতে প্রকাশ পেয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷

Advertisement

[কাশ্মীরের কারাগারে ছড়াচ্ছে জেহাদের বিষ, পাক জঙ্গিদের তিহারে সরানোর আবেদন]

‘স্ক্রল ডট ইন’কে উদ্ধৃত করে কংগ্রেস অভিযোগ করে, ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩.১০ নাগাট পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা হয়৷ এবং জঙ্গি হানার খবর পাওয়ার পরেও তিন ঘণ্টা করবেট ন্যাশনাল পার্কে শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ সন্ধ্যা ৬.৪৫ পর্যম্ত চলে সেই শুটিংপর্ব৷ যখন সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যুশোকে মুষড়ে পড়েছিল গোটা দেশ, তখন বোটে সওয়ার হয়ে কুমির সাফারিতে বেরিয়েছিলেন মোদি৷ প্রধানমন্ত্রীর শুটিংয়ের ছবি দেখিয়ে, তাঁর সমালোচনা করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা৷ বিজেপি জানিয়েছিল, পুলওয়ামার ঘটনার পর কোনও খাবার মুখে তুলতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী৷ বিজেপির সেই দাবিকেও মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন কংগ্রেস মুখপাত্র৷ কিছু সংবাদপত্রের কাটিং দেখিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, জওয়ানদের মৃত্যুর খবর পেয়েও রামপুর গেস্ট হাউসে খাবার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ শুক্রবার মোদির বিরুদ্ধে একই অভিযোগে সরব হন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও৷ প্রধানমন্ত্রীকে ‘প্রাইম টাইম মিনিস্টার’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি৷ কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, বিজেপির দেশভক্তি নিয়ে৷ অভিযোগ করা হয়, দেশকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত শুটিংয়ে৷

প্রশ্ন ওঠে, তবে কংগ্রেসের এই অভিযোগ কতটা সত্য? ‘ফ্যাক্ট চেক’ করতে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে সংবাদপত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়ার হাতে৷ জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের অধিকাংশ অভিযোগই ভ্রান্ত৷

[‘গদ্দার সিধু’ পোস্টারে ছয়লাপ জলন্ধর]

প্রথমত, ওইদিন সন্ধ্যা ৬.৩০ পর্যন্ত করবেট ন্যাশনাল পার্কে শুটিং করেননি প্রধানমন্ত্রী৷ সরকারি সূত্রে খবর, ডিসকভারি চ্যানেলের জন্য ওইদিন পরিবেশ সচেতনতা সংক্রান্ত একটি ভিডিও-র শুটিং করছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ তারপর রুদ্রপুরে একটি জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর৷ বিকাল চারটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী করবেট পার্ক থেকে রুদ্রপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন৷

দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে দুপুর ৩টে ১০ মিনিটে হামলা হয়েছে৷ কিন্তু ইকোনমিক টাইমসের সূত্রে বলছে, আসলে হামলার সময় দুপুর ৩টে ৩৩ মিনিট৷ অর্থাৎ কংগ্রেসের দাবি করা সময় থেকে ২৫ মিনিট পর৷

তৃতীয়ত, ছবি দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে হামলার পরেও শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু টুইটার বলছে ছবিটি ওইদিন দুপুর ১টা বেজে ৫২ মিনিটের আগে তোলা৷ কারণ ছবিটি ওই সময় টুইটারে আপলোড করেছিলেন নৈনিতাল বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া কো-অর্ডিনেটরক বিশ্বকেতু বৈদ্য৷ ফলে একথা স্পষ্ট যে, হামলার পর শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন না মোদি৷ তার আগেই তিনি বোটে সওয়ার হন এবং শুটিং করেন৷

[গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যু নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, সমন রাহুল ও ইয়েচুরির বিরুদ্ধে]

চতুর্থত, ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে খবর, ওইদিন হামলার খর পাওয়ার পর কোনও খাবার মুখে তোলেননি প্রধানমন্ত্রী৷ সর্বক্ষণ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন তিনি৷

পঞ্চমত, মোদি ওই সময় কোনও মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে পারেননি কারণ, তিনি তখন নয়াদিল্লিতে ছিলেন না৷ উত্তরাখণ্ডে ছিলেন৷ কিন্তু সেখান থেকেই সমস্ত বিষয়য়ের উপর ক্রমাগত নজরদারি চালিয়ে যান৷ এমনকী, রুদ্রপুরে জনসভায় যাওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করেন৷কিন্তু প্রচুর মানুষ জমা হয়ে যাওয়ায়, মাত্র ৫-৭ মিনিট ফোনে বক্তৃতা দেন তিনি৷

The post জঙ্গি হামলার সময় আদৌ কি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন মোদি? জানুন সত্যি ঘটনা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement