গৌতম ব্রহ্ম: লাগাতার চাপের মুখে এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayet Election) আগে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করল গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় (PMGSY) বাংলার জন্য ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর নবান্ন (Nabanna) সূত্রে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটি কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ প্রকল্প। দুই সরকারই প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যয় বহন করে। কেন্দ্রের তরফে যে অর্থ বকেয়া ছিল, তা থেকেই ৫৮৪ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে। তবে ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে এখনও কেন্দ্রের তরফে কোনও আশ্বাস মেলেনি।
দিন তিনেক আগে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আবাস ও সড়ক যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে যে টাকা এখনও বকেয়া, তা চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের হাতে আসতে পারে বলে শোনা গিয়েছিল। আর তারপর ১০০ দিনের কাজের মোটা অঙ্কের টাকাও মিলতে পারে। সপ্তাহ দুই আগে দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে হিসেবনিকেশ নিয়ে কথা বলেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে তিনি বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের পর এবার অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করল ইডি]
চলতি সপ্তাহেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে আশাপ্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে খবর পৌঁছয়, কেন্দ্রীয় গ্রাম সড়ক যোজনায় ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে তা জানানো হয়েছে। আগামী তিন বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা -৩’এর আওতায় বাংলায় আরও ৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এর জন্য ৫৫০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পাঠাতে চলেছে দিল্লি।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মামলায় হিন্দুপক্ষের আবেদন বৈধ, খারিজ মুসলিমপক্ষের আরজি]
রাজ্য বিজেপির (BJP) তরফে একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে এই টাকা না দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্য নিজের নাম দিয়ে চালাচ্ছে, যা অন্যায়। তাই কেন্দ্রের অর্থ পাওয়ার এক্তিয়ার নেই রাজ্যের। তবে এদিন কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খবর পৌঁছনোর পর রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বাংলার শাসকদলের লাগাতার চাপের মুখে অবশেষে অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্র।