সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সাড়ে চার বছর ধরে দেশে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন তিনি। বিরোধিতা করলেই সিবিআই কিংবা ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাকে ব্যবহার করে ভয় দেখাচ্ছেন। লোকসভা ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে সরব বিরোধীরা। আর এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগ মেনে নিলেন মোদি স্বয়ং! সদর্পে জানিয়ে দিলেন, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন তিনি! প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিতে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। বিভ্রান্ত নেটিজেনরাও।
[ বিজেপি নেতাদের আতঙ্ক, হেলমেট পরে সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন সাংবাদিকরা]
ব্যাপারটা কী? ‘ডিজিটাল ভারত’ গড়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও সক্রিয় হবেন, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। মোদি ব্যক্তিগতভাবে তো বটেই, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বা পিএমও-র তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ টুইট করা হয়। বৃহস্পতিবার সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের ভাষণে যথারীতি কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন তিনি। রাহুল গান্ধীর দলের বিরুদ্ধে জরুরি অবস্থা জারি, সংবিধানের ৩৫৬ নম্বর ধারার অপপ্রয়োগ, সেনাবাহিনীকে অপমান করা-সহ একাধিক অভিযোগ তোলেন মোদি। পরে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য টুইট করা হয় পিএমও-র তরফেও। আর সেই টুইটগুলিই এখন রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়।
কারণ? পিএমও-র প্রতিটি টুইটে মোদির বক্তব্যের শেষে একটি করে অতিরিক্ত লাইন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই লাইনটি হল, ‘Modi is Destroying institutions’! সোজা বাংলায়, ‘মোদি দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করছেন!’ অর্থাৎ বিরোধীদের অভিযোগ মেনে নিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। লোকসভা ভোটের মুখে পিএমও-র এমন টুইট নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এখনও পর্যন্ত টুইটটি লাইক করেছেন সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ। ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ রিটুইট করেছেন। অনেকেই আবার টুইট করে মোদির বক্তব্যকে সমর্থনও করেছেন!
The post সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ‘ধ্বংস’ করছেন মোদি! পিএমও-র টুইট ভাইরাল appeared first on Sangbad Pratidin.