অর্ণব দাস, বারাসত: মদের আসরে বউকে কটূক্তি! 'বদলা' নিতে সহর্কমীকে লোহার রড ও বঁটির আঘাতে খুন! দত্তপুকুরের (Duttapukur) মিষ্টির দোকানের কর্মী পরিতোষ পাণ্ডের খুনের তদন্তে বড় মোড়। খুনের অভিযোগে সেই দোকানের কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করল দত্তপুকুর থানার পুলিশ।
সোমবার সকালে পরিতোষের বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় মিষ্টির ব্যবসায়ী বিক্রম সাহার দোকানের কর্মচারী ছিলেন তিনি। সোমবার সকালে পরিতোষ কাজে না যাওয়ায় দোকানের মালিক বাড়িতে খোঁজ করতে আসেন। তখনই তিনি ঘরের ভিতরে মেঝেতে পরিতোষের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর যায় পুলিশে। দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার পর থেকে ওই মিষ্টির দোকানের অন্য এক কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাস দোকানে আসেননি। সন্দেহ হয় পুলিশের। মালিকের থেকে তথ্য নিয়ে বর্ধমানের পূর্বস্থলী এলাকা থেকে সোমবার রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্বজিৎ খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বিশ্বজিতের দাবি, গত পরশু অর্থাৎ রবিবার রাতে তাঁরা পরিতোষের বাড়িতে মদের আসর বসিয়েছিলেন। সেই সময় পরিতোষ, বিশ্বজিতের বউ সম্পর্কে কটু মন্তব্য করেন। তার প্রতিবাদে পরিতোষকে মারধর করে বিশ্বজিৎ। একই সঙ্গে তার বাড়ির বঁটি দিয়ে গলায় আঘাত করেন। লোহার রড দিয়ে মাথাতেও আঘাত হানেন। পরিতোষ মাটিতে লুঠিয়ে পড়লে লোহার রডটি ওই এলাকার একটি পুকুরে ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। তবে শুধুই স্ত্রীকে বাজে কথা বলার কারণে খুন, নাকি এর পিছনে টাকা-পয়সা লেনদেনের কোনও কারণ আছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।