সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপাকে বার্সেলোনা। বিতর্কিত ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারিতে বার্সেলোনার (Barcelona) প্রাক্তন সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তামেউ-সহ (Josep Maria Bartomeu) বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্পেনের পুলিশ। সোমবার বিভিন্ন স্প্যানিশ মিডিয়ায় এমনই দাবি করা হয়েছে। যদিও বার্সেলোনার তরফ থেকে পুলিশ আসার বিষয়টি স্বীকার করা হলেও সরকারিভাবে গ্রেপ্তারির বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
ক্লাবের তরফ থেকে কেবল জানানো হয়েছে, এদিন Mossos d’Esquadra-র আর্থিক তছরুপের বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ক্লাবে আসেন। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা সেখানে ছিলেনও। কিন্তু এর বেশি আর কিছু জানায়নি লিও মেসির ক্লাব। যদিও বিভিন্ন স্প্যানিশ মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারির তদন্ত করতেই ক্লাবে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার পর অনেককেই এই ঘটনায় জড়িত থাকায় গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছেন ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি জোসেপ বার্তামেউ। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন বর্তমান CEO অস্কার গ্রাউ এবং ক্লাবের আইনি পরামর্শদাতা দলের প্রধান রোমান গোমেজ পন্টিও। কাতালান পুলিশের তরফ থেকে পরবর্তীতে একাধিক গ্রেপ্তারির কথা স্বীকার করে নেওয়া হলেও কোনওরকম নাম প্রকাশ করা হয়নি।
[আরও পড়ুন:দুঃস্বপ্নের ISL, টুর্নামেন্টে লাল-হলুদের হতশ্রী পারফরম্যান্সের ৪টি কারণ জানালেন মনোরঞ্জন]
কিন্তু কী এই ‘বার্সা গেট’ কেলেঙ্কারি?
গত বছরের শুরুতেই ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারির কথা সামনে এসেছিল। মেসি, পিকের মতো দলের অভিজ্ঞ, গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বার্সেলোনা নাকি ‘আইথ্রি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিয়েছিল। নাম জড়িয়েছিল ক্লাবের অন্যতম ডিরেক্টর জাউমা মাসফেরের। খোদ পিকে এ নিয়ে বার্সা প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষোভপ্রকাশও করেছিলেন। যদিও বার্তামেউ জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেন না। এরপরও জাউমা ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যা নিয়ে আবারও বিতর্ক হয়। পরবর্তীতে বার্তামেউয়ের নামও জড়িয়ে যায় এই কেলেঙ্কারিতে। জানা যায়, এর পিছনে হাত ছিল প্রাক্তন বার্সা সভাপতিরও। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।