অর্ণব আইচ: ঠিক যেন বলিউড অ্যাকশন ছবির দৃশ্য। ছাদ থেকে এলোপাথাড়ি চলে গুলি। রক্তাক্ত হয়ে ছিটকে পড়ল দু’জন। আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয়রা। শুক্রবার বিকেলে এমনই ভয়াবহ দৃশ্যের সাক্ষী হন পূর্ব কলকাতার আনন্দপুরের (Anandapur) গুলশন কলোনির বাসিন্দারা। এখনও থমথমে গোটা এলাকা। এদিকে, তদন্তে নেমে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আনন্দপুর গুলি কাণ্ডে ধৃতেরা হল মহম্মদ সাজিদ এবং নাদিম আশরাফ। জানা গিয়েছে, বছর চব্বিশের মহম্মদ সাজিদ পশ্চিম চৌবাগার বাসিন্দা। উনচল্লিশ বছর বয়সি নাদিম আশরাফ মার্টিন পাড়ায় বসবাসকারী। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করে গুলি কাণ্ডে আরও অজানা তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ বসু পরিবারের]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গুলশন কলোনিতে মিনি ফিরোজের এক পরিচিত প্রোমোটার চারতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। সেই বাড়িটি ঘিরেই গত কয়েকদিন ধরে দুই সিন্ডিকেটের মধ্যে গোলমাল চলছিল। অভিযোগ, জুলকর তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই নির্মীয়মান বাড়িটিতে আসে। তারা প্রোমোটারের কাছ থেকে টাকা চায়। সেই খবর পেয়ে মিনি ফিরোজের লোকেরা এসে বাধা দেয়। দুই সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে প্রথমে বচসা ও তারপর মারপিট হয়। দু’দলই একে অন্যের উপর হামলা চালায়। দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেও যায় তারা। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ জুলকর ফের মিনি ফিরোজের এলাকায় আসে।
অভিযোগ, তার সঙ্গে বাইকে করে আসে প্রায় ৩০ জন। বাইকগুলি তারা একটি দূরে রেখে তারা ফিরোজদের দিকে এগিয়ে আসে। প্রথমে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। গোলমাল চরমে ওঠে। জুলকরের অনুগামীরা ওই বাড়িটি ও এলাকায় ভাঙচুর শুরু করে। তাতে বাধা দেয় ফিরোজের লোকেরা। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, দু’দলই একে অন্যের দিকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। মিনি ফিরোজের এক অনুগামীর গুলিতে আহত হয় জুলকরের দুই অনুগামী শওকত ও ভুজন। তাদের দু’জনেরই পায়ে গুলি লাগে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় আনন্দপুর থানায় খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।