সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেআইনি মাংসের কারবারে নাম জড়িয়েছিল আগেই। তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ। এবার ওই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রাক্তন মন্ত্রী হাজি ইয়াকুব কুরেশির (Haji Yakoob Qureishi) ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল যোগীর পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে মন্ত্রীকে তলব করা হয়েছিল, তাতে সাড়া না দেওয়ার পরেই মন্ত্রীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বর্তমানে মন্ত্রী ও তাঁর দুই ছেলে পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চ বেআইনি মাংসের কারবার চালানোর অভিযোগে ১৭ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়। তাদের অন্যতম বিএসপি (BSP) নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হাজি ইয়াকুব কুরেশি। একই অপরাধে অভিযুক্ত হন কুরেশির স্ত্রী সনজিদা বেগম, দুই ছেলে ইমরান ও ফিরোজ। পুলিশের অভিযোগ ছিল, কুরেশি পরিবারের মাংসের কারখানা থেকে ৫ কোটি টাকার বেআইনি মাংস পাওয়া গিয়েছে। এমনকী ওই ব্যবসার লাইসেন্স ছিল না বলেও অভিযোগ। এছাড়াও মন্ত্রীর কারখানা থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছিলেন প্রতিবেশীরা।
[আরও পড়ুন: বানচাল মোদিকে হত্যার ছক! বিহার থেকে ধৃত দুই সন্ত্রাসবাদী]
এরপরেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। স্ত্রী সনজিদা তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করলেও কুরেশি ও তাঁর ছেলে ইমরান এবং ফিরোজ পুলিশি তলবের পর থেকেই পলাতক। বর্তমানে জামিনে মুক্ত কুরেশির স্ত্রী। এবার ওই ঘটনার তদন্তে নেমে হাজি ইয়াকুব কুরেশির ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল যোগীর পুলিশ। উল্লেখ্য, এর আগে গ্রেপ্তারি এড়াতে আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। যদিও সেই আরজি খারিজ হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘নাটক’, ‘নির্যাতন’, ‘দাঙ্গা’, ‘দালাল’ এবার নিষিদ্ধ, শব্দে লাগাম সংসদে, সরব তৃণমূল]
হাজি ইয়াকুব কুরেশি বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক হিসেবে রাজ্যের সংখ্যালঘু দপ্তরের মন্ত্রী হন। যদিও ২০০৭ সালে প্রথমবার উত্তরপ্রদেশ ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (United Democratic Front) টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। ২০১২ সালে বহুজন সমাজ পার্টিতে যোগ দেন। পরবর্তীকালে প্রার্থী হতে না পেরে রাষ্ট্রীয় লোক দলে (Rashtriya Lok Dal) যান। যদিও ২০১৯ সালে ফের বিএসপি-র টিকিটে মীরাটে প্রার্থী হন। এবার বিজেপির (BJP) রাজেন্দ্র আগরওয়ালের কাছে হেরে যান।