ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত খোদ আইনরক্ষক। বীরভূমের (Birbhum) নানুরে চলন্ত বাসের মধ্যে মারধর করা হল পুলিশ কনস্টেবলকে। নানুর (Nanur) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হামলাকারী যুবকদের বিরুদ্ধে নানুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত পুলিশকর্মী। তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে খবর। রবিবারের এই ঘটনায় পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠে গেল।
নানুরের বালিগুলি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ শাহজাহান একজন পুলিশ কনস্টেবল (Police constable)। এই মুহূর্তে তিনি সদাইপুর থানায় কর্মরত। রবিবার দুপুরে তিনি সদাইপুর থেকে সিয়ান হাসপাতালে গিয়েছিলেন এক আত্মীয়কে দেখতে। সেখান থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠেন নানুরে নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন বলে। সেসময় মোহনপুরের কাছে বাসের মধ্যে ধূমপান (Smoking)করতে শুরু করে জনা কয়েক যুবক। এ নিয়ে অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় তাদের। কনস্টেবল শাহজাহান বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করেন। নিকটবর্তী নানুর থানায় ফোন করে সমস্ত বিষয়টি জানান তিনি। তখনকার মতো বিষয়টি মিটেও যায়। কিন্তু যুবকরা যে পুলিশকর্মীকে টার্গেট করে রেখেছিলেন, তা বুঝতেও পারেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: বিভেদের রাজনীতি চলছে! দলেরই বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূলে যোগ মেদিনীপুরের বহু BJP নেতা-কর্মীর]
অভিযোগ, সদাইপুরে শাহজাহান নামার পর ওই যুবকরা তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর (Beaten) করেন। তাঁর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়, ভেঙে দেওয়া হয় চশমাও। মুখে আঘাত পান। প্রহারের পর তিনি নানুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর গোটা ঘটনা তিনি লিখিত আকারে জানান নানুর থানায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে খবর। এতে অসন্তুষ্ট মহম্মদ শাহজাহান। তিনি নিজেই নানুর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
[আরও পড়ুন: খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে মূক ও বধির কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ, গ্রেপ্তার যুবক]
চলন্ত বাসে ধূমপান বেআইনি। সেই কাজের বিরোধিতা করতে গিয়ে যুবকদের হাতে খোদ আইনরক্ষকেরই প্রহৃত হওয়ার মতো ঘটনা রীতিমতো তোলপাড় ফেলেছে এলাকায়। তবে এটাই নতুন নয়, এর আগেও নানা অন্যায় রুখতে গিয়ে পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা আগেও প্রত্যক্ষ করেছেন রাজ্যবাসী। সেই তালিকাতেই জুড়ল নানুরের এই ঘটনা।