সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলিত (Dalit) সম্প্রদায়ের সহকর্মীকে সহ্য করতে পারতেন না। মাঝেমধ্যেই জাতপাত তুলে গালিগালাজও করতেন। শেষপর্যন্ত সামান্য ঝামেলার অজুহাতে সহকর্মীকে পিটিয়ে, পরে শ্বাসরোধ করে খুন করল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনস্টেবল। খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করতেও কসুর করেনি অভিযুক্ত। দড়ি দিয়ে দেহটিকে সিলিংয়ে টাঙিয়ে দেয় সে। তবে শেষরক্ষা হল না। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
মথুরার আশিসকুমার (২৫) উত্তরপ্রদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু তদন্ত শুরু হতেই ভুল ভাঙে পুলিশের। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সহকর্মীকে খুনের অভিযোগে শনিবার রাতে কনস্টেবল রোহিত ধানগড়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার আদালতে তোলা হলে ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গরিব কল্যাণে এগিয়ে মোদি সরকার, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সংকল্প প্রস্তাব আনবে বিজেপি]
অভিযুক্ত রোহিত এবং মৃত আশিস মিরাটের নউঝাল থানায় কর্মরত ছিলেন। একই ঘরে থাকতেন দুজনে। অভিযোগ, দু’জনের মধ্যে সামান্য অশান্তির পরই আশিসকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে রোহিত। পরে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে তাঁকে। খুনকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় আশিসকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শেষপর্যন্ত গ্রেপ্তার হতে হল অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে।
আশিসকুমারের পরিবারের অভিযোগ, রোহিত কোনওদিনই আশিসকে সহ্য করতে পারতেন না। কারণ সে দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত। জাতপাত তুলে গালিগালাজ করত। সেই আক্রোশেই খুন করা হয়েছে আমাদের ছেলেকে। মৃতের বাবা রবীন্দ্রকুমারের অভিযোগ, ছেলে ওর ভাই রজনিশকে জানিয়েছিল, রুম পার্টনার মাঝেমধ্যে জাতপাত তুলে গালিগালাজ করত। এমনকী, প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিল। এবার ওকে মেরেই ফেলল।