সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। পদে পদে প্রশ্নের মুখে পড়ছে পুলিশ ও প্রশাসন। সেই আবহে মারাত্মক অভিযোগ করেছে নির্যাতিতার পরিবার। মেয়ের দেহ ঘরে শায়িত থাকা অবস্থাতেই পুলিশ ঘরে ঢুকে টাকার প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবার। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সোমবার সুপ্রিম রায়ের পর তিনি বলেন, আর জি করে নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দেয়নি পুলিশ। সমস্তটাই মিথ্যে কথা। কুৎসা করা হচ্ছে। প্রমাণ দিতে হবে। বরং পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিল, যা নিতে চায়নি নির্যাতিতার পরিবার।
পুলিশের তরফে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আগেই রাজ্য দাবি করেছিল, নির্যাতিতার পরিবারকে কোনও রকম টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। কলকাতা পুলিশের তরফে একটি ভিডিও-ও তুলে ধরা হয়, যাতে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বলে বলতে শোনা গিয়েছে নির্যাতিতার মা-বাবাকে। অন্য দিকে, নির্যাতিতার পরিবার দাবি করে, জোর করে তাঁদের ওই কথা বলানো হয়েছিল। পরিবারের দাবি, মেয়ের দেহ ঘরে শায়িত থাকা অবস্থাতেই ডিসি নর্থ অন্য ঘরে তাঁদের টাকার প্রস্তাব দেন, পুলিশকে রাগালে বিচার পেতে দেরি হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও সোমবার সুপ্রিম রায়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুলিশের নামে কুৎসা করা হচ্ছে। মিথ্যা প্রচার চলছে। আর জি করে নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দেয়নি পুলিশ। তবে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যা নিতে অস্বীকার করেন নির্যাতিতার মা-বাবা।
[আরও পড়ুন: ‘দেড় ঘণ্টা দূরে থাকতে হয়’, আর জি করে CISF জওয়ানদেরও অসহযোগিতা! অভিযোগ কেন্দ্রের]
এদিন পুলিশের ঢালাও প্রশংসা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। আর জি করে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আন্দোলন চলছে, তাও সংযত ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ বাহিনী। পাশাপাশি মমতা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে দিন সাতেক আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বাঁধা দেন। যেহেতু পুলিশ কোনও ভুল করেনি, রক্ত ঝরায়নি।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেক-রুজিরার আর্জি]
এদিকে সোমবার আর জি কর মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরতে হবে চিকিৎসকদের। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যদি তাঁরা কাজে না ফেরেন, তাহলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য। তবে আদালত এটাও জানায়, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।