সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'শিবঠাকুরের আপন দেশে আইন-কানুন সর্বনেশে।' মরে গিয়েও যোগীর পুলিশের 'কড়া' আইনের 'নাগপাশ' থেকে রেহাই পেলেন না মৃত ব্যক্তি। চোর সন্দেহে উত্তরপ্রদেশে গণপিটুনিতে খুন হয়েছিলেন এক যুবকের। ঘটনার তদন্তে নেমে ১০ দিন পর মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করল যোগীর পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এমন তৎপরতায় রাজনৈতিক বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে চোর সন্দেহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটেছিল কিছুদিন আগে। সেই ঘটনার ১০ দিন পর শনিবার আলিগড় পুলিশ ডাকাতির অভিযোগে মৃত যুবক এবং অন্য আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এর পরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের পরিবার। আর যোগীরাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে মহম্মদ ফরিদ ওরফে ঔরঙ্গজেবের হত্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক, যোগীরাজ্যে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা]
মামু ভাঞ্জা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে ফরিদের (৩৫) উপর জনতার হামলার পর ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে যোগীরাজ্যে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে স্থানীয় পুলিশ গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছে। কারণ বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার এ নিয়ে চাপে আছে। বজরং দল এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ সহ-হিন্দু সংগঠনগুলি শীঘ্রই বন্দিদের মুক্তি না দিলে আন্দোলন শুরু করার হুমকি দিয়েছে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান অজয় রাই, সাহারানপুরের ইমরান মাসুদ-সহ দুই সাংসদ শনিবার ফরিদের বাড়িতে যান। তাঁরা বলেন,“কংগ্রেস শোকসন্তপ্ত পরিবারের সাথে আছে। এবং যদি মৃতদের পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করা হয় তবে আন্দোলন শুরু হবে।’’ সব মিলিয়ে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর চরম আকার নিয়েছে।