shono
Advertisement

হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজই সূত্র, দেহ উদ্ধারের কয়েকঘণ্টার মধ্যে বেনিয়াপুকুরে যুবক মৃত্যুর রহস্যভেদ

ঘুমের ওষুধ খেয়ে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।
Posted: 01:10 PM Jun 13, 2021Updated: 01:40 PM Jun 13, 2021

অর্ণব আইচ: দিনতিনেক ধরে নিখোঁজ ছিলেন যুবক। শনিবার পচা গন্ধ পেতেই সন্দেহ হয় এলাকার বাসিন্দাদের। পূর্ব কলকাতার বেনিয়াপুকুরের (Beniapukur) একটি শুকনো চৌবাচ্চার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় যুবকের পচাগলা দেহ। প্রথমে পুলিশের ধারণা হয়, খুন করে যুবককে ফেলে দেওয়া হয়েছে চৌবাচ্চায়। কিন্তু ময়নাতদন্ত এবং একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে মোড় ঘোরে তদন্তের। জানা যায়, ঘুমের ওষুধ খেয়ে চৌবাচ্চায় ঢুকে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রামকৃষ্ণ ঘোষাল ওরফে নিমাই। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে। তিনি বেনিয়াপুকুরের গোরাচাঁদ রোডের একটি ওষুধের দোকানে কাজ করতেন। তাঁর ভাইও ওই দোকানে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। কাছেই একটি বাড়িতে দু’জন ভাড়া থাকতেন। যে বাড়ির চৌবাচ্চা থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেটি ওই ওষুধের দোকানের ম্যানেজারের বাড়ি। গত তিনদিন ধরে নিমাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি হয়। শুক্রবার থেকেই হালকা পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল এলাকায়। এদিন পচা গন্ধের জন্য টিকতে পারছিলেন না বাসিন্দারা। তাঁরাই বেনিয়াপুকুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ির জলের রিজার্ভারের পাশেই একটি শুকনো চৌবাচ্চার ঢাকনা খুলে পচাগলা দেহটি পড়ে থাকতে দেখে। নিমাইয়ের ভাই এসে দেহটি শনাক্ত করেন।

[আরও পড়ুন: দু’মাস আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে স্ট্র্যান্ড রোড, জেনে নিন কোন পথে যান চলাচল]

প্রথমে পুলিশের ধারণা হয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ওই ওষুধের দোকানের ম্যানেজার পুলিশকে জানান, কয়েকদিন আগে তাঁর সঙ্গে দোকানের অন্য এক কর্মচারীর হাতাহাতি হয়। ম্যানেজর ও তাঁর পরিবারের অন্যদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এর মধ্যেই নিমাইয়ের পরিবারের এক সদস্য সোদপুর থেকে বেনিয়াপুকুরে এসে পুলিশকে জানান, তিন দিন আগে হোয়াটস অ্যাপে নিমাই তাঁকে একটি মেসেজ পাঠান। তাতে বলা রয়েছে, তিনি প্রত্যেকদিনই মদ্যপান করতেন। তাতে বাধা দিতেন পরিবারের লোকেরা। তাঁকে পরিবারের লোকেদের কটূকথা শুনতে হত। তাঁকে বকাবকিও করতেন প্রত্যেকে। বিষয়টি নিয়ে দোকানেও গোলমাল হত। তাই তিনি ঘুমের ওষুধ খাচ্ছেন বলে জানান।

যেহেতু ওষুধের দোকানে কাজ করতেন, তাই ঘুমের ওষুধ জোগাড় করা তাঁর পক্ষে সুবিধাজনক ছিল। কিন্তু কোথায় খেয়েছেন অথবা খেয়ে কোথায় গেলেন, তা বুঝতে পারছিলেন না ওই আত্মীয়। এর মধ্যে দেহটির ময়নাতদন্ত হয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা পুলিশকে জানান, তাঁকে খুন করা হয়েছে এমন প্রমাণ মেলেনি। এর পরই পুলিশ তাঁর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়। ওই হোয়াটস অ্যাপ মেসেজটিই সুইসাইড নোট বলে ধরছে পুলিশ। পুলিশের মতে, তিনি ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর নিজেই ওই চৌবাচ্চার ভিতর গিয়ে শুয়ে পড়েন। এর পর তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে দেহটি কেউ খুঁজে পায়নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: নিউটাউন এনকাউন্টার: ফ্ল্যাটের বেডরুমেই চলে গুলিযুদ্ধ, প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ ফরেনসিক দলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement