সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ বছরের কিশোরী কন্যার ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ জানিয়ে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা। কিন্তু সেই মহিলাকেই ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল যোগীরাজ্য। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজের ওই অফিসারকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতেও তোলা হয় বলে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের নাম অনুপ মৌর্য। তিনি কনৌজের হাজি শরিফ পুলিশ ফাঁড়ির আউটপোস্ট-ইন-চার্জ ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে মেয়ের ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে আসা মহিলাকে ধর্ষণ করার। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন অনুপ। জানিয়েছিলেন, মামলা রুজু করতে একটি স্বাক্ষর করতে হবে ওই মহিলাকে। এরপর ওই মহিলা অভিযুক্তের বাড়ি গেলে তাঁকে সেখানে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত অফিসার। নির্যাতিতা মহিলা পরে দ্বারস্থ পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট অনুপম সিংয়ের। তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপরই অভিযুক্ত অনুপের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে গ্রেপ্তারও করা হয়।
[আরও পড়ুন: হঠাৎ ‘গায়েব’ চাঁচোল কলেজের ১৫ বিঘা জমি! UGC’র মান্যতা হারানোর আশঙ্কা]
এমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, পীড়িতকে ন্যায় দেওয়া যাদের কাজ, সেই পুলিশ কী করে এমন ভাবে নিপীড়নের পথ বেছে নিতে পারে? এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের বিপন্নতা আরও বেশি করে প্রকট হয়ে ওঠে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সাম্প্রতিক অতীতে বারবার উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। হাথরাস থেকে উন্নাও- একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বিরোধীরা। এরপর ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল কনৌজের ঘটনায়।