শেখর চন্দ্র, আসানসোল: শনিবারের পর সোমবার। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে আসানসোল কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রাণহানির ঘটনায় ফের জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে জেরা। সোমবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ দুই এসিপি, মহিলা থানার ওসি, উত্তর থানার ওসি, গোয়েন্দা বিভাগের দুই অফিসার-সহ মোট সাতজন পুলিশ আধিকারিক ও দুই ভিডিওগ্রাফার জিতেন্দ্র তিওয়ারির বাড়িতে ঢোকেন।
শনিবার বিজেপি নেত্রী চৈতালি তিওয়ারির বাড়িতে যায় পুলিশ। আসানসোল কম্বল বিতরণ কাণ্ড নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চৈতালিকে। একটানা ২ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। আর এই জেরার পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন চৈতালি তিওয়ারির স্বামী তথা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি।
[আরও পড়ুন: চার্চে সেলফি তোলার সময় অগ্নিকাণ্ড, বালিকাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম কসবা থানার পুলিশকর্মী]
তিনি অভিযোগ করেন, “জেরা করার নামে চৈতালি তিওয়ারিকে মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। আর এটা পুলিশ করেছে তৃণমূলকে খুশি করতে।” প্রাক্তন মেয়রের আরও দাবি, “কলকাতা হাই কোর্ট একমাত্র এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইওকে জেরা করার কথা বলেছিল। কিন্তু সাতজন অফিসার আমার ঘরে চৈতালিকে জেরা করেছেন। যা হওয়া অনুচিত। হাই কোর্ট ২ ঘন্টা জেরা করার কথা বলেছিল। তা বলে ২ ঘন্টা জেরা করতেই হবে? কম সময় একটু করা যেত না? একজন মহিলাকে এইভাবে জেরা করা যায়? চৈতালি তিওয়ারি তো ক্রিমিনাল নয়।” জিতেন্দ্র জানান, সেদিনের জেরার পরে চৈতালি তিওয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে শিবচর্চা ও মেগা কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। বকলমে, এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন বাউরি পরের দিন আসানসোল উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ একটি মামলা করে। অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ তিনটি ধারায় একটি এফআইআর হয়। তাতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, চৈতালি তিওয়ারি-সহ নির্দিষ্ট করে ১০ জনের নাম ছিল। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে।