সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যরাতে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়ের আপ্ত সহায়কের বাড়িতে পুলিশ। বিজেপির আরও ২ নেতার বাড়িতেও হানা দিয়েছে পুলিশ। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হিরণ। ভোটের তিন দিন আগে এহেন অভিযানকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করছেন গেরুয়া শিবিরের তারকা প্রার্থী।
মঙ্গলবার কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মধ্য রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণের সেক্রেটারি তমোঘ্ন দের বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সাধু-সন্তর পালটা ইমাম! ধর্মের রাজনীতি নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর]
খড়গপুরের তালবাগিচায় তমোঘ্নর বাড়িতে যায় ঘাটাল ও খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। তমোঘ্নর মায়ের দাবি, গভীর রাতে পুলিশ এসে ডাকাডাকি করতে থাকে। অসুস্থ মা দরজা খুলতে না চাওয়ায় পুলিশ দরজায় লাথি মারে বলে অভিযোগ। আতঙ্কে দরজা খুলে দেন তিনি। এর পরই কোনও কারণ না দেখিয়েই বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই তাঁর বাড়িতে ছুটে যান হিরণ। গোটা ঘটনার পিছনে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, তাঁর একাধিক আপ্ত সহায়কের মধ্য়ে একজনকে ফোন করেছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব। তাঁর সঙ্গে কাজের প্রস্তাব দেব।
হিরণের দাবি, তমোঘ্নর পাশাপাশি কেশপুরের এক বিজেপি নেতা এবং মেদিনীপুরে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু ঠিক কী কারণে আচমকা এই অভিযান, তা নিয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ। তবে হিরণ যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এনেছেন, তাতে দেখা যায়, কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক তাঁকে বলছেন, প্রতারণা মামলার তদন্ত করতেই এই অভিযান।