অর্ণব আইচ: আনন্দপুর শিশুপাচার কাণ্ডে পুলিশের নজরে বেহালার বকুলতলার এক আইভিএফ সেন্টার। শিশুপাচার চক্রের ধৃত দুই মহিলাকে নিয়ে সেই আইভিএফ সেন্টারে হানা দেয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেখানকার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর।
আনন্দপুর থানা এলাকার শিশুপাচার কাণ্ডে দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কল্যাণী গুহ ও লালতি দে। কল্যাণীদেবীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও তাঁর সন্তান হয়নি। সেই সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্যই কলকাতা পর্ণশ্রীতে থাকছিলেন। বকুলতলার আইভিএফ সেন্টারের সূত্রের নাকি লাল্টি দে-র সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। যদিও সেন্টার কর্তৃপক্ষের দাবি, লাল্টি দে সেখানকার কর্মী নন। অথচ সেই আইভিএফ সেন্টারের সুবাদেই লালতি দে-র সঙ্গে আলাপ বলে দাবি করেছেন কল্যাণী গুহ।
[আরও পড়ুন: ‘ধনকড়ও এমন করেননি’, রাজ্যপাল বোসের সমালোচনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী]
শিশু নিখোঁজের তদন্তে নেমে বড়সড় শিশু পাচারচক্রের হদিশ পেল আনন্দপুর (Anandapur) থানার পুলিশ। খোদ শিশুর মা-ই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত! তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে এল বিস্ফোরক সমস্ত তথ্য। যা শুনে চোখ কপালে দুঁদে তদন্তকারীদেরও। একে একে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হল ৬ জন। তার মধ্য তিনজনই দালাল।
জানা গিয়েছে, জেলা থেকে এভাবে শিশুদের পাচার করে এনে রাখা হত কলকাতার একটি জায়গায়। সেখানে ভাড়া বাড়িতে চলত শিশু বিক্রির চক্র। কলকাতার বিভিন্ন আইভিএফ সেন্টারগুলি ছিল পাচারকারীদের টার্গেট। যেখানে নিঃসন্তান দম্পতিরা আসতেন সন্তান ধারণের উপায় খুঁজতে। তাঁদের কাছে গিয়ে এই দালালরা সহজে সন্তান পাওয়ার ‘টোপ’ দিত। ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার প্যাকেজের বিনিময়ে অনেকেই রাজি হয়ে যেতেন। এরপর তাঁরাও সেই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ৮,৯ মাস এবং সন্তান কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরতেন।