জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে ছবি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছে এক যুবক। তার সেই ছবি ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। আর এই ঘটনায় এক পুলিশ আধিকারিককে বহিষ্কারের মুখে পড়তে হল। বিজেপির অভিযোগ, বাগদার মালিপোতায় ওই যুবক উপনির্বাচনের দিন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছিল। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছিল। আর তৃণমূলের পালটা দাবি, বিজেপি দলটাই চালাচ্ছে সমাজবিরোধীরা। নিজেদের মুখ আড়াল করতে এসব ছবি দেখাচ্ছে। তবে এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর যতই থাকুক, পুলিশ তদন্তে নেমে এক অফিসারকে (Police officer) বহিষ্কার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১০ জুলাই বাগদায় (Bagda) উপনির্বাচনের দিন ভোট মেটার পর এক যুবকের আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নেওয়া ছবি সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই যুবক ভোটের দিন পুলিশের গাড়ি চালিয়েছিল বলে খবর। যে পুলিশ অফিসারের গাড়ি চালায়, ওই অফিসারের ভাগ্নে পুলিশেরই অস্ত্র নিয়ে ছবি তুলেছিল। তাই এ নিয়ে শোরগোল শুরু হতে বিভাগীয় তদন্তে নামে বাগদা পুলিশ। বহিষ্কার করা হয় ওই অফিসারকে।
[আরও পড়ুন: ছেলের মরণোত্তর সম্মান নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে পুত্রবধূ! অভিযোগ শহিদ অংশুমানের বাবার]
পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ভাইরাল (Viral) হওয়া ওই যুবকের ছবি দেখিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের দাবি, ''উপনির্বাচনের দিন মালিপোতার গাদপুকুরের কয়েকটি বুথে দেদার ছাপ্পা হয়েছে। আমাদের প্রার্থীও সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। দিনভর এই এলাকায় অস্ত্র হাতে যে দাপিয়ে বেরিয়েছে, তার নাম সোনাই ঘোষ। মালিপোতার বাসিন্দা। তো এরা হচ্ছে তৃণমূলের ভবিষ্যত। এদের ছাড়া তৃণমূল ভোটে জিততে পারবে না। তাই এদের কাজে লাগাচ্ছে। অথচ এ এখনও বাইরে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে!''
[আরও পড়ুন: ইন্দিরার ‘এমার্জেন্সি’র কথা মনে করিয়ে ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ ঘোষণা মোদি সরকারের]
আর তৃণমূলের (TMC) তরফে সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, ''বিজেপি দলটাই চালাচ্ছে সমাজবিরোধীরা। এদের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া যুবকের যোগ রয়েছে। আর বিজেপি নেতারা নিজেদের সেই মুখ আড়াল করতে এসব ছবি সামনে আনছে। এটাই ওদের সংস্কৃতি। তবে ফলাফল বেরক, বুঝতে পারবে যে ওসব করে ভোটে জেতা যায় না। এখানে বিপুল ভোটে জিতবে তৃণমূল।''
দেখুন ভিডিও: