কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: প্রেমিকই খুন করেছে বার সিঙ্গারকে নাকি অন্য কেউ? প্রেমিক খুন করলেই বা তার কারণ কী? সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে খুন বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশ আধিকারিকদের। ঠিক কী কারণে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হল? দু’জনের মাঝে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির উপস্থিতি নাকি অন্য কিছু, বার সিঙ্গারের রহস্যমৃত্যুর কিনারায় গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বাগুইআটি (Baguiati) থানার পুলিশ। নিহত তরুণীর পুরুষসঙ্গীর খোঁজে চলছে তল্লাশি।
আচমকা দুর্গন্ধে টিকতে পারছিলেন না প্রতিবেশীরা। কী হয়েছে তা বুঝতে পারেননি তাঁরা। গন্ধের উৎস সন্ধান বেরোন বেশ কয়েকজন। আর তাতেই সামনে এল ভয়ংকর ঘটনা। ঘরের দরজা ভাঙতেই দেখা গেল বিছানার উপর পড়ে রয়েছে বার সিঙ্গারের (Bar Singer) নিথর দেহ। যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে বাগুইআটি থানার পুলিশ ইস্ট মল রোডের ওই বাড়িতে আসে। পুলিশকর্মীরাই ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহটি। ঘরের মধ্যে বিছানার উপর পড়েছিল। খালি চোখে দেহে আঘাতের কোনও লক্ষণ চোখে পড়েনি পুলিশের। তদন্তকারীদের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হতে পারে সুইটিকে। বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার সম্ভাবনা এড়ানো যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: কলেজ স্ট্রিটের দোকান থেকে চুরি ২২ হাজার টাকার বই! চোর বিক্রি করবে কোথায়? উঠছে প্রশ্ন]
পুলিশ (Police) জানতে পেরেছে, মাসকয়েক আগে সৌরভ চক্রবর্তী নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সুইটির। বাগুইআটি থানা এলাকার ইস্ট মল রোডে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন দু’জনে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল না সুইটি এবং সৌরভের। নিজেদের মতো করে ঘরেই সময় কাটাতেন তাঁরা। আপাতদৃষ্টিতে দু’জনের সম্পর্কের মধ্যে কোনও তিক্ততা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে সুইটির দেহ উদ্ধারের পর থেকে সৌরভ বেপাত্তা। তাই সৌরভই তাঁকে খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। মনে করা হচ্ছে, সম্পর্কের অবনতির কারণে সুইটিকে খুন করে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে সৌরভ। ঠিক কী কারণে সুইটিকে খুন করল সৌরভ? তাঁদের দু’জনের মধ্যে কী তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি নাকি অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।