সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘালয়ের (Meghalaya) বিজেপি (BJP) সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। পুলিশের দাবি, রাজ্যের বিজেপি সহ-সভাপতি বার্নার্ড ম্যারাকের (Bernard Marak) খামার বাড়িটি পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার হত। সম্প্রতি গাড়ো পাহাড়ের ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৪ জন নাবালিকা সহ ৬৮ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ গর্ভনিরোধক ওষুধ। বিভিন্ন ঘরে তালাবন্দি একাধিক শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে এখনও অবধি মুখে খোলেনি গেরুয়া শিবির, কোনওরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি অভিযুক্ত বার্নার্ড ম্যারাকের থেকেও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ জমা পড়ে। এক ব্যক্তি জানান, এক সপ্তাহ নিরুদ্দেশ ছিল তাঁর নাবালিকা কন্যা। সম্প্রতি এক আত্মীয় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির সঙ্গে নাবালিকাকে দেখেন। এরপরেই ওই সন্দেহভাজনকে আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর নাবালিকার বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। সে জানায়, এক বন্ধুর সঙ্গে রিম্পু বাগানের (Rimpu Bagan) একটি খামার বাড়িতে গিয়েছিল সে। সেখানে একটি ঘর ভাড়া নেয়। ওখানে তাঁকে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করা হয়।
[আরও পড়ুন: মেয়ের নামে বেআইনি বার, স্মৃতিকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করুন, মোদির কাছে দাবি কংগ্রেসের]
তদন্তের সূত্রে ২২ জুলাই শুক্রবার রাতে রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি বার্নার্ড ম্যারাকের খামার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তখনই জানা যায়, ওই বাড়িতে একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপ চলত। যার অন্যতম মধুচক্র। খামার বাড়িটি থেকে ৫০০ প্যাকেট গর্ভনিরোধক ওষুধ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এইসঙ্গে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে মোট ৬৮ জনকে। এদের মধ্যে ২৪ জন নাবালিকা। পুলিশ জানিয়েছে, একটি পরিত্যক্ত নোংরা ঘর থেকে আরও পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪ জন ছেলে, ১ জন মেয়ে।
[আরও পড়ুন: ‘খাপ পঞ্চায়েত বসাচ্ছে সংবাদমাধ্যম, পিছিয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্র’, উদ্বেগ প্রধান বিচারপতির]
উল্লেখ্য, মেঘালয়ের বর্তমান বিজেপি সভাপতি একসময় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২৫টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এবারের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় বিপাকে পড়তে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও অবধি মুখ খোলেনি বিজেপি, প্রতিক্রিয়া মেলেনি বার্নার্ড ম্যারাকের।